মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ ব্লকের একটি গ্রামীণ জনপদ জুড়ানপুর (Nadia)। মহাপীঠনিরূপণ তন্ত্র অনুসারে এই জুড়ানপুরের কালীপীঠ হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের ৫১ টি সতীপীঠের অন্যতম। কথিত আছে মা সতীর করোটির অংশ এখানে পতিত হয়েছিল। কালীপীঠের অপর নাম কালীঘট্ট বা কালীঘাট। ভাগীরথী এক সময় জুড়ানপুরের পাশ দিয়েই প্রবাহিত হত। সেই নদীঘাটের অবস্থান থেকেই কালীঘাট নামকরণ হয়৷ দেবী এখানে জয়দুর্গা নামে অধিষ্ঠিত।
এসেছেন স্বয়ং শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস (Nadia)
এই শক্তিপীঠের রক্ষাকর্তা ক্রোধীশ ভৈরব। এখানে এক সুপ্রাচীন বটবৃক্ষের তলায় মহাদেবী স্বয়ম্ভু প্রস্তরখণ্ড রূপে পূজিতা হন। এখানে প্রতীক অর্থে একটা ব্রোঞ্জের মূর্তি আছে৷ নানা সময় নানান বিখ্যাত সাধক এখানে এসেছেন পীঠ (Nadia) দর্শন করতে। সেই তালিকাতে আছেন স্বয়ং শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস, সাধক বামাক্ষ্যাপা সহ অনেক বিখ্যাত সাধক। অনেকে তো এখানে সাধনাও করে গেছেন। জুড়ানপুর কালীপীঠে দুর্গাপুজো, রটন্তী কালীপুজো, রথযাত্রা ও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার হয় জলাভিষেক। প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমায় জুড়ানপুর কালীপীঠ প্রাঙ্গণে বিরাট মেলা বসে। এই মেলায় জাতিধর্ম নির্বিশেষে বেশ কয়েক হাজার লোকসমাগম হয়। সেই অর্থে এটি সর্বধর্ম সমন্বয়েরও একটি জায়গা বলা চলে।
অসংখ্য ভক্ত আসছেন (Nadia)
প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও লোক সমাগম হয়েছে সেই বিশেষ মেলায়। দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত আসছেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। তবে আশেপাশে কোন থাকার জায়গা না থাকলেও মন্দির কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়ে দিলে ব্যবস্থা করা হয় বিশেষ ভোগের। কীভাবে আসবেন? শিয়ালদহ থেকে লালগোলাগামী যে কোনও ট্রেনে দেবগ্রাম স্টেশনে নেমে কাটোয়া ঘাটগামী বাসে নিমতলায় নেমে সেখান থেকে টোটো করে জুড়ানপুরে যাওয়া যায়। অন্যদিকে কাটোয়া স্টেশনে নেমে ভাগীরথী নদী পার করে জুড়ানপুরে (Nadia) আসা যায়।
+ There are no comments
Add yours