Botanical Garden: আমফান ঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া বোটানিক্যাল গার্ডেন ফিরছে আগের চেহারায়

সেজে উঠছে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন, ফের চালু হবে বোটিং এবং ব্যাটারি চালিত গাড়ি
Botanical_Garden
Botanical_Garden

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমফান ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল এশিয়ার প্রাচীনতম হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden)। তারপর দীর্ঘ দিন গার্ডেন বন্ধ রাখার পর ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ সরিয়ে আস্তে আস্তে সাধারণ মানুষের দর্শনের উপযোগী করে তোলা হয় হাওড়া শিবপুরের এ জে সি বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেনকে।  আমফান ঝড়ে কয়েক হাজার বহুমূল্য গাছ সমূলে উপড়ে পড়ে। তার মধ্যে কিছু গাছকে বাঁচানো গেলেও বেশির ভাগ গাছকে বাঁচানো যায়নি। সেই সব পড়ে যাওয়া গাছ এখনও কিছু কিছু রয়ে গেছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। তবে আম্ফানের পর দীর্ঘ এক বছর ধরে বোটানিক্যাল গার্ডেনকে আস্তে আস্তে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গার্ডেন অথরিটি।

কী জানালেন বোটানিক্যাল গার্ডেনের (Botanical Garden) জয়েন্ট ডিরেক্টর?

বোটানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিং জানিয়েছেন,  আমফান ঝড়ে সম্পূর্ণভাবে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল বাগান। তারপর সেই পড়ে যাওয়া গাছ সরিয়ে আস্তে আস্তে বাগান পরিষ্কার করা হয়। যেসব গাছ উপড়ে গিয়েছিল, তার পরিবর্তে নতুন গাছ লাগানোর কাজ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত  আমফানের পর বোটানিক্যাল গার্ডেন জুড়ে প্রায় চার হাজার নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। এর পাশাপাশি কোভিডের সময় থেকে বন্ধ ছিল গার্ডেনের (Botanical Garden) ক্যাফেটেরিয়া, বোটিং এবং ব্যাটারি ভেহিকেল। সেগুলিও খুব শীঘ্রই চালু করা হচ্ছে। আগে যেভাবে ক্যাফেটেরিয়া চলত, এখন থেকে সেভাবেই চলবে। এর পাশাপাশি বয়স্ক মানুষদের জন্য গার্ডেনের গেট থেকেই পাওয়া যাবে ব্যাটারি চালিত পরিবেশবান্ধব গাড়ি। অন্যদিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের যে লেকগুলি আছে, সেগুলির সঙ্গে গঙ্গার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। গঙ্গায় জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকগুলিও জলে ভরে ওঠে। আবার গঙ্গায় ভাঁটার সময় লেকগুলিতে জল কমতে থাকে। এই লেকের জীববৈচিত্র্য মানুষ যাতে দেখতে পারেন এবং বিনোদনের জন্য এখানে বোটিং-এর ব্যবস্থাও চালু ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে বাগান বন্ধ থাকায় সেই বোটিং বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা চেষ্টা করছেন খুব দ্রুত আবার বোটিং চালু করার। এর পাশাপাশি দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এবং তাদের দাবি মতো আরও বেশি করে পানীয় জলের কলের ব্যবস্থা এবং বসার চেয়ার বাড়ানো হচ্ছে।

কী বললেন বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) ডেলি ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক?

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রতিদিন বেড়াতে আসা ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ দর্শকরাও কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রতিদিন যাঁরা প্রাতঃভ্রমণে আসেন, তাঁরাও দ্রুত এই সমস্ত প্রকল্প রূপায়ণের দাবি জানিয়েছেন। তবে বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) ডেলি ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস দাস বলেন, বাগানে বিনোদনের জন্য নানা প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বোটানিক্যাল গার্ডেনের যে উদ্দেশ্যে, সেই উদ্ভিদের উপর গবেষণার কাজ অনেকটাই কমে গেছে বলে তিনি মনে করেন। সেদিকেও জোর দেওয়া দরকার।  তিনি বলেন,  আমফান ঝড়ে গার্ডেনের যে সব গাছ উপড়ে গিয়েছিল, তার অনেকগুলিকেই চেষ্টা করলে বাঁচানো যেত। কিন্তু সেই কাজ ঠিকমতো করা হয়নি। এর পাশাপাশি ডবল কোকোনাট সহ অনেক দুষ্প্রাপ্য গাছ বর্তমানে মৃতপ্রায়। সেই গাছগুলি বাঁচাতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেবেন্দর সিং জানান, এই বিষয়গুলিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles