Nadia: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

BSF: নদিয়ায় হরিনাম-সংকীর্তন বন্ধে বাংলাদেশের ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিল বিএসএফ
Nadia
Nadia

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মমতার বক্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সাধুসন্তরা। এই আবহের মধ্যে এবার চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মভূমি নদিয়ায় (Nadia) হরিনাম সংকীর্তন বন্ধ করার ফতোয়া দিল বাংলাদেশ। যা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম-সংকীর্তন অনুষ্ঠান।

হরিনাম বন্ধে ফতোয়া দিল বিজিবি! (Nadia)

নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম বিজয়পুর। এই গ্রাম থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই কাছে। গত ৩৫ বছর ধরে সেখান গ্রামবাসীদের উদ্যোগে অষ্টম প্রহর নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার রক্ষা বাহিনী (বিজিবি) এই সীমান্ত লাগোয়া বিজয়পুর গ্রামে নাম সংকীর্তন বন্ধ করার  ফতোয়া জারি করে বলে অভিযোগ। যার জেরে অনুষ্ঠান হওয়া একরকম অনিশ্চিত হয়ে প়ড়েছিল। যে নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান নয়, স্থানীয় মানুষদের জন্য আবেগ এবং ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের আরেক নাম। বিজিবি-র ফতোয়ার কারণে অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিএসএফের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, বিএসএফের হস্তক্ষেপে ফের গ্রামবাসীরা নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান করছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কী বললেন?

বাংলাদেশের এই ফতোয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামের (Nadia) বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, আমরা ভারতবর্ষে বসবাস করি। আমাদের নিজের দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষীরা কীভাবে ফতোয়া দিতে পারে তা আমরা বুঝতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত বিএসএফের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের বিজিবির হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে আবারও শুরু হল বিজয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান। এ বিষয়ে আমরা বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞ। বিএসএফের আধিকারিকরা যদি হস্তক্ষেপ না করত, তাহলে আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারতাম না। গ্রামের এক মহিলা বলেন, আমরা ভারতের নাগরিক, কাঁটাতারের জিরো পয়েন্টে বসবাস করি। বিএসএফদের কারণে আমরা সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করি। কোনও ভয় ভীতি নেই। আর পাঁচটা গ্রামের মতোই আনন্দ উৎসবের মুখর হয়ে থাকে এই গ্রাম। তবে, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুধু বিজয়পুর গ্রামের মানুষ নয় আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই অনুষ্ঠানে সামিল হন। আর সেটাকেই বন্ধ করার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশিদের। সেটা বিএসএফের কারণে তারা করতে পারেনি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles