মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের রক্ত ঝড়ল বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভার বাসুদেবপুর থানার জগদ্দল বিধানসভার কাউগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অম্বিকাপল্লিতে। বিজেপির জগদ্দল মণ্ডল-৪-এর সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব করকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে তাঁর বাড়িতে দেখতে যান অর্জুন সিং।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লববাবু স্থানীয় বিজেপি নেতা। বারাকপুরে (Barrackpore) দলীয় প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন তিনি। শাসক দলের স্থানীয় নেতারা তা মেনে নিতে পারছে না বলে বিজেপির অভিযোগ। হনুমান জয়ন্তী পুজো নিয়ে বিপ্লববাবুর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী বিশাল সিংয়ের বচসা হয়। বিশাল তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। সোমবার ভোর রাতে বাড়ির বাইরে শৌচালয়ে যেতেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মী বিশালের লোকজন হামলা চালায়। বিপ্লববাবুর বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি নেতা বিপ্লব কর বলেন, আসলে এলাকায় আমি বিজেপির নেতৃত্ব দিই। সেটা তৃণমূলের লোকজন মেনে নিতে পারে না। তাই, সামান্য কারণে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আসলে পাড়ার মন্দিরে হনুমান জয়ন্তী পালন করা নিয়ে তৃণমূল কর্মী বিশাল সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়েছিল। সকলের অনুমতি ছাড়া হনুমান জয়ন্তী করা যাবে না বলে বিশালকে আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম। সেটা ও মেনে নিতে পারিনি। সামান্য বিষয় নিয়ে ও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, আসলে তৃণমূল এলাকায় তোলাবাজি করে। পুজোর নাম করে তোলাবাজির চেষ্টা করছিল। আমাদের ওই এলাকার দলীয় নেতা তার প্রতিবাদ করেছিল। তাই ওর ওপরে এরকম হামলা হল। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধান শেখ ইমতিয়াজ আলি বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। পড়শিদের মধ্যে কোনও কারণে ঝামেলা হয়েছে। অকারণে রাজনীতিকে জড়াচ্ছে বিজেপি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours