মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Assassination) মামলায় ছয় সাজাপ্রাপ্তকে সপ্তাহখানেক আগে মুক্তির অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে কেন্দ্র (Centre)। সরকারের যুক্তি, সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমার নির্দেশটি শুনানির সুযোগ না দিয়েই পাশ করা হয়েছে। আবেদনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টিতে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। কারণ সাজাপ্রাপ্তরা তাদের মুক্তির আবেদনে কেন্দ্রকে অংশীদার করেনি। তাই মামলায় অংশ নিতে পারেনি কেন্দ্র।
চলতি বছরের ১১ নভেম্বর নলিনী শ্রীহরণ সহ ছয় সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তির অনুমতি দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তামিলনাড়ুর জেল থেকে ছাড়াও পেয়ে যায় তারা। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Assassination) মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তিন দশকের বন্দি জীবনও কাটিয়েছে তারা। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, যে ছজনকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তার মধ্যে চারজনই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও রয়েছে। এদের মুক্তি দেওয়ার অনুমতি ছিল এমন একটি বিষয় যার আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে। এবং সেই কারণে এটি ভারতের সার্বভৌম ক্ষমতার মধ্যে পড়ে।
রাজীব গান্ধী হত্যা...
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে একটি জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। এলটিটিইর এক আত্মঘাতী মহিলা হামলাকারীর বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান তিনি। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল আরও ১৫ জনের। যে আত্মঘাতী হামলাটি চালিয়েছিল, সে ধনু। রাজীব গান্ধীর পা ছোঁয়ার ভান করে সে নিচু হয়েছিল। তার পরেই ঘটে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় ১৬ জনের। জখমও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: পথ কুকুরদের খাওয়ালে দত্তক নিতে হবে, বম্বে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
মাস ছয়েক আগে এই মামলার অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত এজি পেরারিভালানকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। ১৮ মে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মুক্তি রাজীব হত্যাকাণ্ডে বাকি সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে। শুক্রবার বেঞ্চ বলেছে, এই একই আদেশ অন্য ছয় অভিযুক্তের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours