মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds Case) প্রকল্প বাতিল করেছিল উনিশের এপ্রিল মাসে। সেই থেকে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে ২২ হাজার ২১৭টি। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে একথা জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
এসবিআইয়ের হলফনামা
এদিন হলফনামা দিয়ে এসবিআই জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে ২২ হাজার ২১৭টি। এর মধ্যে ২২ হাজার ৩০টি বন্ড ক্যাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাকি ১৮৭টি বন্ড জমা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিলে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ড পাওয়ার পক্ষকালের মধ্যে সেটি ভাঙানো না হলে বন্ডের (Electoral Bonds Case) অর্থ জমা হয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
পেনড্রাইভ
আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, একটি পেনড্রাইভে করে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমা দেওয়া হয়েছে। দুটি পিডিএফ ফাইলে করে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। স্টেট ব্যাঙ্ক এও জানিয়েছে, সঠিক পাসওয়ার্ড ছাড়া ফাইলগুলি খোলা যবে না।
হলফনামায় এসবিআই জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে ১২ মার্চ ব্যবসায়িক সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বন্ড সম্পর্কিত বিশদ তথ্য তারা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। প্রতিটি বন্ড কেনার তারিখ, ক্রেতার নাম এবং বন্ডের মূল্য-সহ বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুুন: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বন্ডের মাধ্যমেই এতদিন রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতেন বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার মালিক ও বড় বড় শিল্পপতিরা। সে সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হত। এটি দেশের সংবিধানের পরিপন্থী বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে এসবিআইয়ের দেওয়া তথ্য প্রকাশিত হওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (Electoral Bonds Case)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours