মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংবিধান পরিবর্তন করে তফশিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ বাতিল করার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার গুজরাটের গান্ধীনগর (Lok Sabha Election 2024) থেকে নিজের মনোনয়ন জমা দেন শাহ। শুক্রবার রাজস্থানের যোধপুরের ভোপালগড়ের একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে শাহ বলেন, 'দেশে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে বাম্পার ভোটিং হয়েছে। মোদি, মোদি জয়ধ্বনি দিয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন।'
সংরক্ষণের সুবিধা প্রসঙ্গে শাহ
সংবিধান পরিবর্তন প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘‘বিরোধীরা বলছেন, সংবিধানে যে সংরক্ষণের সুবিধা রয়েছে তা তুলে দিতেই চারশো আসনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি। আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, চারশো আসনের সঙ্গে সংবিধান বা সংবিধানে থাকা সংরক্ষণ নীতির পাল্টানোর সম্ভাবনা নেই। বিজেপি সংরক্ষণের পক্ষে। কোনও ভাবেই সংরক্ষণের সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে না এবং কাউকে তা করতেও দেওয়া হবে না। জনতার প্রতি বিজেপির দায়বদ্ধতা রয়েছে। বিরোধীরা ভুলে যাচ্ছেন, ২০১৪ সালে এনডিএ-র যা সদস্য সংখ্যা ছিল, তা সংবিধানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট ছিল। আর ২০১৯ সালে বিজেপি একাই নিজের শক্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তার পরেও বিজেপি সংরক্ষণ নীতি পাল্টানোর চেষ্টা করেনি।’’
আরও পড়ুন: দুঃসহ জ্বালা! আজই কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, চরম সতর্কতা জেলায় জেলায়
ভোট নিয়ে স্মৃতিচারণায় শাহ
২০১৯ সালে গান্ধীনগর থেকে তিনি লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) জিতেছিলেন ৫.৫ লাখ ভোটে। এবার ফের একবার গান্ধীনগরের মাটিতে ভোট-ভাগ্য পরীক্ষা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। আর তার লক্ষ্যে শুক্রবার মেগা রোড শো করে মনোনয়ন জমা দেন অমিত শাহ। শুক্রবার গুজরাটের নরেন্দ্রপুরা থেকে সরখেজ হয়ে গান্ধীনগর পৌঁছায় শাহের রোডশো। এই রোড শো নিয়ে অমিত শাহ বলছেন, ‘আমার জন্য স্পেশ্যাল এটাই যে যে জায়গা দিয়ে রোড শো গিয়েছে, সেখানে এককালে আমি পোস্টার মেরেছি, দেওয়াল লিখন করেছি পার্টির জন্য, আমার সফর এই এলাকায় স্থানীয় পার্টি কর্মী থেকে শুরু হয়েছিল আর সেখান থেকে আজ যেখানে আমি আছি…।’ রাজনৈতিক সফর নিয়ে অকপট অমিত শাহ বলছেন, ‘৩০ বছর ধরে এখানের মানুষ আমায় বিধায়ক, সাংসদ বানিয়েছেন। আর পরে আমি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছি। আমি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গী হিসাবে গুজরাটে তাঁর মন্ত্রিসভায় ছিলাম, কেন্দ্রেও আছি। আমি এটার জন্য গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি গান্ধীনগরের মানুষের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours