মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত নাইসা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাসের মোবাইল ফোনে রয়েছে গোপন তথ্যের ভাণ্ডার! এমনটাই অনুমান সিবিআইয়ের। মোবাইল ফোনটিকে গোপন তথ্যের ভাণ্ডার বলে মনে করছে সিবিআই। এবার ওই ভাণ্ডারের হদিশ পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআইয়ের আরও দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের নামের বেশ কিছু তালিকা ও অ্যাডমিট কার্ডের রোল নম্বর পাওয়া গেছে নীলাদ্রির মোবাইল ফোনে। মিলেছে বেশ কয়েকজন এসএসসি আধিকারিকের ফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। শুধু তাই নয়, ওএমআর সংস্থার প্রধান নীলাদ্রি দাস বানিয়ে ফেলেছিলেন চাকরি বিক্রির চার্টও।
কোন চাকরির কত দাম
সূত্রের খবর, প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরির রেট ছিল ১০ লক্ষ টাকা। মোটর ভেহিকলসে ইন্সপেক্টর পদে চাকরির জন্য ১২ লক্ষ, খাদ্য দফতরে ফুড সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরির জন্য ১১ লক্ষ, জেলাশাসকের দফতরে চাকরির জন্য ৭ লক্ষ, পরিবহণ দফতরের অন্যান্য পদে চাকরির জন্য ৫ লক্ষ, রাজ্য পুলিশে চাকরির জন্য ৮ লক্ষ, সিভিক ভলান্টিয়ারের জন্য ৩০ হাজার, সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য ১৩ লক্ষ ও পুরসভায় ক্লার্কের চাকরির রেট ছিল দেড় লক্ষ টাকা।
কোন কোন ধারায় মামলা রজু সিবিআইয়ের
জানা গিয়েছে চার্জশিটে ধৃতের বিরুদ্ধে ১২০ বি ( অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র ), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট ), ৪২০ ( প্রতারণা ), ৪৬৭ (নকল ডকুমেন্টস তৈরি করা), ৪৬৮ (নকল নথি বানিয়ে ব্যবহার), ৪৭১ আইপিসি এবং প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্ট ৭ ও ৮ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্রের খবর, নাইসার আরও একাধিক আধিকারিকের উপরে এবার নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। তাদেরও দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
কীভাবে চলত দুর্নীতি
নীলাদ্রিকে গ্রেফতারের পর সিবিআই সূত্রেও দাবি করা হচ্ছে, চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের নাম SSC-র মাধ্যমে জানানো হত নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রিকে। এরপর তিনি ওয়েবসাইটে নম্বর বাড়িয়ে দিতেন। কিন্তু কমিশনের দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের সুপারিশ অনুযায়ী অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানোর পরও, ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে আরও কয়েকজনের নম্বর বাড়িয়ে দিতেন নীলাদ্রি। সেই জাল ছড়িয়ে ছিল বিভিন্ন জেলায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours