মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার দলীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসবে জেডিইউ। এরপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে দেন নীতীশ। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সদ্ধান্তের কথা জানান। এর আগে নীতীশ রাবড়ি দেবীর বাড়িও যান বলে খবর। সেখানে রাবড়ি ও লালু পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে কথা হয় নীতীশের। রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে আসার পর নীতীশ জানান, এটা তাঁর একার নয় দলগত সিদ্ধান্ত।
সূত্রের খবর, মহাজোটের সব বিধায়কের জন্য মঙ্গলবার রাবড়ি দেবীর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাবড়ি দেবীর বাসভবন ১০ সার্কুলার রোডে অবস্থিত। অন্যদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কংগ্রেস কোটা থেকে একজন উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তার প্রস্তাবে আরজেডি আপত্তি জানিয়েছে। আরজেডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নীতীশ কুমারকে সমর্থন জানাবে আরজেডি। মন্ত্রীসভা গঠনে কোনও বিভেদ থাকবে না। তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন যে, তাঁদের ১৬০ জনের সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের 'মহাজোট'-এর পথে বিহার?
জেডিইউ-র সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এদিন ট্যুইটে লিখেছেন, 'নতুনভাবে নতুন নেতৃত্বের জন্য নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন। 'বর্তমানে বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তাঁর হাতে স্বরাষ্ট্র দফতর থাকবে। আরজেডি সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের মতোই ১৫ জন মন্ত্রী পেতে পারে আরজেডি। স্পিকার পদে বসতে পারেন আরজেডি নেতা।
সূত্রের খবর, বিহার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেবেন ১৬ জন বিজেপি (BJP) মন্ত্রী। ২৪৩টি আসনের বিহার বিধানসভায় এই মুহূর্তে নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের বিধায়ক সংখ্যা ৪৫। অন্য দিকে, বিহারে একক বৃহত্তম দল তেজস্বীর আরজেডি। তাঁর দলের ৭৯ জন বিধায়ক। দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিজেপি, তাদের কাছে ৭৭ জন বিধায়ক। বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১২২ জনের সমর্থন।
আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?
এ ছাড়া কংগ্রেসের আছে ১৯ জন বিধায়ক। সিপিআইএমএল লিবারেশনের রয়েছেন ১২ জন বিধায়ক। জিতনরাম মাঝির হামের রয়েছে চার জন বিধায়ক। সিপিএম এবং সিপিআইয়ের রয়েছে মোট চার বিধায়ক। এক জন করে নির্দল ও এআইএমআইএম বিধায়ক। এই হিসেব অনুযায়ী পূর্বতন মহাগটবন্ধনের অঙ্ক কষলে দেখা যাচ্ছে, আরজেডি, কংগ্রেস ও জেডিইউ মিলিয়ে ১৪৩ জন বিধায়ক। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে অনেকটাই বেশি। পাশাপাশি সিপিআইএমএল লিবারেশন, সিপিএম ও সিপিআই-ও আগের মহাগটবন্ধন সরকারে ছিল। জিতনরাম মাঝির হামের চার বিধায়ক তেজস্বী, নীতীশের পাশেই থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। অতএব পদ্ম ছেড়ে লণ্ঠন হাতে নিয়েও অ্যানে মার্গের বাসভবনে ফেরায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় নীতীশের। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, থাকবেনও!
+ There are no comments
Add yours