মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে তদন্ত পরিচালিত হলে কোনও ফল মিলবে না, বরং কোর্টের তত্ত্বাবধানে হোক তদন্ত।’’ যাদবপুরে মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদীপের বাড়িতে এসে এমন কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টা নাগাদ নদিয়ার বগুলায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে পৌঁছান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার সহ বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা। মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলকে, যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভার অন্দরে শাসক দলকে তৈরি থাকতে বলেন। ইতিমধ্যে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেছেন, আগামী ২২ অগাস্ট হতে চলেছে স্বপ্নদীপের দিন। উল্লেখ্য ওই দিনই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে।
কোর্টের নির্দেশে হোক তদন্ত দাবি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
স্বপ্নদীপের বাড়িতে এসেও চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা প্রশাসনের প্রতি কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করলেন তিনি। দাবি তুললেন, নিরপেক্ষ তদন্ত তখনই সম্ভব যদি তা কোর্টের হস্তক্ষেপে হয়। পাশাপাশি, যাদবপুরের অতি বাম ছাত্রদের টুকরে টুকরে গ্যাং বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের মদতে এরা যাদবপুরে মোদি ও বিজেপি বিরোধী প্রচার চালায়।’’ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারীর এমন অভিযোগ যে অসত্য নয় তার প্রমাণও মিলতে শুরু করেছে। ২০১৪ সালে যাদবপুরের এক অতি বাম নেতাকে বর্তমানে রাজ্যের দায়িত্বে আনে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও জোর চর্চা শুরু হয়। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘ ২০১৯ সালের পরে এদের সঙ্গে চুক্তি করেছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপিকে রোখার জন্য।’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা বলছেন, অতি বামেরা গত বিধানসভা নির্বাচনে ডাক দিয়েছিন ‘‘নো ভোট টু বিজেপি’’- এই প্রচারে। তাই শুভেন্দু অভিযোগ মিথ্যা নয়।
ওর মা বলছে, ‘দাদা তোমাকে শাস্তি দিতে হবে’
এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজনীতি নয় বরং বিচারটা চাই। ওরকম একটা আদরের ছেলেকে গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা পর্যন্ত দিয়েছে অপরাধীরা। স্বপ্নদীপের মা বলল, ‘‘তোমাকে শাস্তি দিতে হবে।’’ পর্যবেক্ষক মহল বলছে, রেজিস্ট্রারের সঙ্গে শাসক দলের ঘনিষ্ঠতা কারও অজানা নয়। রেজিস্ট্রার দায় চাপিয়েছেন স্টুডেন্ট অফ ডিন রজত রায়ের ওপর। আবার রজত রায় দায় চাপাচ্ছেন হস্টেল সুপার ও ছাত্রদের ওপর। এখন প্রশ্ন হল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। সেই কর্তৃপক্ষ দায় এড়াচ্ছে যখন, তখন ব্যর্থতা কার? শাসক দল ঘনিষ্ঠ রেজিস্ট্রার ও ডিন কীভাবে সব দায় ছাত্রদের ওপর চাপাতে পারেন? ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মমতা ঘনিষ্ঠতা শুভেন্দু জানেন, তাই স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়ে কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করার পক্ষে তিনি সওয়াল করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours