মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ পিছু হটলেন আন্দোলনকারীরা। ঠিক একদিন আগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন (CM Pinarayi Vijayan) স্বয়ং। তার পরেই কাটে জট। ল্যাটিন ক্যাথলিক চার্চ ও স্থানীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায় (Fishermen Community) অবস্থান তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। ফলে এবার আর কেরলের (Vizhinjam) বন্দর তৈরিতে কোনও বাধা রইল না। ভিজহিনজামে এই সামুদ্রিক বন্দরটি তৈরি করছে আদানি গোষ্ঠী। বন্দর হচ্ছে কেরলের দক্ষিণে। মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন বলেন, উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন ও তাঁদের জীবিকার নিরাপত্তার দিকটি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবে।
ভিজহিনজামে বন্দর...
কেরলের ভিজহিনজামে বন্দর তৈরি করছে আদানি গোষ্ঠী। বন্দরটি হলে এলাকার পাশাপাশি ব্যাপক উন্নতি হবে রাজ্যের। এই বন্দর তৈরিতেই বাধা দিচ্ছিল ল্যাটিন ক্যাথলিক চার্চ ও স্থানীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়। বন্দর তৈরির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে ১৩৮ দিন ধরে। জট কাটাতে একাধিকবার হয়েছে বৈঠক। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। শেষমেশ জট কাটল বুধবার। ল্যাটিন ক্যাথলিক চার্চের তরফে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে সব ব্যাপারে একমত নয়। তবে বৃহত্তর স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু
এদিকে, এদিনই বিধানসভায় এনিয়ে বিবৃতি দেয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেরলের পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এই জাতীয় প্রকল্প মানবিক এবং গ্রহণযোগ্য পথেই রূপায়ন করতে হবে। তিনি জানান, আন্দোলনকারীরা সাতটি দাবি জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে পাঁচটি মেনে নিয়েছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভিজহিনজামে বন্দর (Vizhinjam) তৈরি করতে গিয়ে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। যাঁরা ভাড়া ঘরে থাকছেন, তাঁদের মাসে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে ভাড়া বাবদ দেওয়া হবে। অগ্রিম দেওয়া হবে দু মাসের। মৎস্যজীবীরা যাতে তাঁদের জাল এবং মাছ ধরার অন্যান্য সরঞ্জাম রাখতে পারেন, সেজন্য তাঁদের পর্যাপ্ত জায়গাও দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, মৎস্যজীবীরা বতর্মানে যে কেরোসিন চালিত বোট ব্যবহার করেন, তাকে ডিজেল এবং পেট্রোল চালিত বোটে পরিবর্তন করা হবে। এজন্য মৎস্যজীবীদের এককালীন ভর্তুকিও দেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours