মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনে পড়ল রাজৌরির জঙ্গিদমন অভিযান। বুধবার থেকে জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri Encounter) জেলার কালাকোট মহকুমার অন্তর্গত জঙ্গলে ঘেরা বাজিমাল অঞ্চলে চলছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই (Army Terrorist Gunfight)। গতকাল ২ সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এদিন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। এর মধ্যে সেনার ২ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। রয়েছেন ২ জওয়ানও। অন্যদিকে, বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে লস্করের এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারও।
কী জানিয়েছে সেনা?
সেনার ১৬ কোরের (হোয়াইট নাইট) তরফে এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার কালাকোট এলাকার গুলাবগড় জঙ্গলে চিরুনি-তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ-কে নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনী (Rajouri Encounter)। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় বুধবার। সেই থেকে দুপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ গুলি বিনিময় হচ্ছে। জঙ্গিদের ঘিরে ফেলা হয়েছে (Army Terrorist Gunfight)। মহিলা ও শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে আমাদের সেনা জওয়ানরা শহিদ দিয়েছেন। তাঁদের এই সাহসিকতা ও চরম বলিদানের ফলে অনেকের প্রাণ বেঁচেছে।
Based on specific intelligence Joint Operations launched in #Kalakote Area #Gulabgarh forest #Rajouri, District on 19 Nov 23.
— White Knight Corps (@Whiteknight_IA) November 22, 2023
Contact established on 22 Nov and intense firefight ensued. The terrorists have been injured and surrounded and operations are in progress, amidst acts…
শহিদ চার সেনা কর্মী
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেনার চার জন শহিদ হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসার এবং বাকি ২ জন হাভিলদার পদমর্যাদার। ২ অফিসারের মধ্যে একজন হলেন ৬৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাপ্টেন এমভি প্রাঞ্জল। অপরজন ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্ত। ২ জওয়ানের মধ্যে একজনের নাম হাভিলদার মাজিদ। তিনও ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ইউনিটে অঙ্গ ছিলেন (Rajouri Encounter)। দ্বিতীয় জওয়ানের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এছাড়া, ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের এক মেজর পদমর্যাদার অফিসার আহত হয়েছেন। তাঁকে উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খতম লস্কর কমান্ডার
সেনা সূত্রে খবর, বাহিনীর গুলিতে এক পাক জঙ্গি-নেতা খতম হয়েছে। যা জানা যাচ্ছে, ওই জঙ্গির নাম কুয়ারি। আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা কুয়ারি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার। সেনা গোয়েন্দাদের দাবি, এই জঙ্গি-নেতা দীর্ঘদিন রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় (Rajouri Encounter) আত্মগোপন করেছিল। তার আগে, পাক-আফগান সীমান্তে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এই নিহত জঙ্গি (Army Terrorist Gunfight)। আইইডি তৈরিতে পারদর্শী ছিল বলেও জানা গিয়েছে। ধাংরি ও কান্দি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই কুয়ারি। ওই হামলায় ৭ জন মারা গিয়েছিলেন। ১৪ জন আহত হয়েছিলেন। সেনা সূত্রে দাবি, এখনও ওই এলাকায় ২-৩ জন জঙ্গি রয়েছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে তারা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের ঘিরে ফেলা হয়েছে।
এখনও ফিকে হয়নি অনন্তনাগ...
অনন্তনাগ অভিযানের কথা এখনও টাটকা। প্রায় ২ মাস আগে, অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ অঞ্চলে সেনা-জঙ্গির ভয়াবহ গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন ২ সেনা অফিসার— ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মনপ্রীত, সেনা মেজর আশিস ধনচোক এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপার হুমায়ুন ভাট। খতম হয়েছিল ২ জঙ্গিও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours