মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার যেন ২০২০ সালের সেই পুরনো চিনকে দেখা যাচ্ছে। যেখানে মৃত্যু মিছিল চলছে। করোনা রোগীর চাপে হাসপাতাল গুলিতে বেড নেই। ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট BF 7 এর দাপট শুরু হয়েছে সারা চিন জুড়ে। সমগ্র দেশে সংকটজনক এবং উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি। চিনের এই উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতির জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানা রকম কারণের ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন গুণগত মানে বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে অনেক বেশি পিছিয়ে এবং মাত্র ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন, বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের সাপেক্ষে। আবার অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে চিনে ৩৫ মাস ধরে চলেছে লকডাউন। এরফলে চিনা নাগরিকদের মধ্যে ন্যাচারাল ইমিউনিটি তৈরি হয়নি যার ফলে এই অবস্থা চলছে। সরকারি হিসাব বলছে যে প্রতিদিন ১০ লক্ষ করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং গড়ে ৫০০০ হাজার করে মানুষের মৃত্যু ঘটছে সে দেশে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম সরকারি এই পরিসংখ্যানকে মানতে নারাজ।
কী বলছে গণমাধ্যম?
রেডিও ফ্রি এশিয়া (Radio Free Asia) নামের একটি গণমাধ্যম চঞ্চল্যকর দাবি করছে যে সরকারি নথি ফাঁস হয়েছে এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ কোটি মানুষ! ওই গণমাধ্যমের আরও দাবি যে সরকার তথ্য গোপন করছে এবং তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনছে অন্য কিছু ডেটা। যেমন ২০ ডিসেম্বর সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে নতুন ভাবে করোনা হয়েছে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ।
সে দেশের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ( South China Morning Post) সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, যে , ওমিক্রনের BF 7 এই সাব ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেক বেশি এবং একজন BF 7 আক্রান্ত ব্যক্তি ১০ থেকে ১৮ জনকে সংক্রামিত করতে পারেন।
+ There are no comments
Add yours