মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার থেকে ছত্তিশগড়ের বস্তারে (Bastar) নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে খতম সাত মাওবাদী। রবিবার নিহত হন ৩ মাওবাদী নেতা, মঙ্গলবারের রাতের অভিযানে মারা যান ৪ মাওবাদী। বিজাপুরের জঙ্গলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই অভিযান চালায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, বস্তার ফাইটারস্ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।
মঙ্গলরাতে মাওবাদীদের সঙ্গে জঙ্গলে গুলির লড়াই
নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পায়, ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি মাওবাদীদের দল বিজাপুরের জঙ্গলে রয়েছে। সেই মতো হানা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে জঙ্গলা পুলিশ স্টেশনের আওতায় থাকা ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছাতেই শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এও খবর ছিল, ওই অঞ্চলে (Bastar) গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন যতনা সরকার নামের শীর্ষ মাওবাদী নেতা। জানা গিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ওই গুলির লড়াই। যখন গুলির লড়াই শেষ হয় তখন চারজন মাওবাদী নেতার দেহ উদ্ধার হয়। মাওবাদী নেতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক। দেশীয় পিস্তল, মাওবাদীদের প্রচার পুস্তিকা, ওয়াকি টকি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে খতম ৩ মাওবাদী
প্রসঙ্গত এর আগে গত রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনী অপারেশন চালায় কোয়ালিবেড়াতে (Bastar)। সেখানেও তিনজন মাওবাদী নিহত হয় এনকাউন্টারে। জানা গিয়েছে টেকালগুডা নামক জায়গাতে চলতি বছরের শুরুতেই হামলা চালায় মাওবাদীরা। তারপরেই পাল্টা প্রত্যাঘাতে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। টেকালগুডাতে অবস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পেও হামলা চালায় মাওবাদীরা। এবং সেখানে বেশ কয়েকজন রক্ষী নিহত হন। এরপরেই সুকমা জেলায় স্থানীয় পুবেরতি গ্রামে একটি ক্যাম্প তৈরি করে জওয়ানরা। এখান থেকেই যাবতীয় অপারেশন চালাতে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী। সুকমাতে যে জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীরা ক্যাম্প তৈরি করেছে সেটি কুখ্যাত মাওবাদী নেতা মাধবী হিদমার বাসস্থান বলে পরিচিত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours