মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল, ডিজেলের দাম (Petrol Diesel Prices) কমানো নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের ওপর পালটা চাপ দিল বিজেপি (BJP)। ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য জ্বালানির দামে করছাড় ঘোষণা না করলে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
গত ২১ মে দেশজুড়ে পেট্রল ও ডিজেলের করে ছাড় ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানান, পেট্রলে লিটারে প্রায় ১০ টাকা ও ডিজেলে লিটারে প্রায় ৭ টাকা কর কমাতে চলেছে কেন্দ্র। পর দিন থেকে লাগু হয় নতুন দাম।
কিন্তু তার পরও করছাড় ঘোষণা করেনি রাজ্য। উলটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, দেশের অবিজেপি সরকারগুলির মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলে সব থেকে বেশি করছাড়া দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রাজ্যের শাসক দলের এই দাবি বৃহস্পতিবার নস্যাৎ করে দেয় বিজেপি। বিজেপির দাবি, ইতিমধ্যে পেট্রল-ডিজেলে কর কমিয়ে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ভূমিকা পালন করছে না। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্য কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও করবে বিজেপি।
জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?
সুকান্তর মতে, জিএসটি (GST) সমেত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের সব বকেয়া পাওনা মঙ্গলবারই মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। এবার পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কর কমাক তৃণমূল সরকার।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’
জ্বানানি ইস্যুর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বর্তমানে ব্যর্থসাথীতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত আসতে বাধ্য হবে।
"ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!" কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?
+ There are no comments
Add yours