Hanskhali Rape: হাঁসখালিকাণ্ডে ক্রমেই ফাটল চওড়া হচ্ছে তৃণমূলে?

হাঁসখালিকান্ডে বিপাকে তৃণমূল। দলের অন্দরে বইছে মতানৈক্যের চোরা স্রোত।
tmc_flags
tmc_flags

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali case) গাড্ডায় তৃণমূল(Tmc)। ঘটনার জেরে দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে মতানৈক্য। খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন দলেরই সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra)। আবার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের(Saugata Roy) সঙ্গে সহমত পোষণ করতে পারছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা দলের আর এক সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi roy)। এই চার নেতানেত্রীর পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে যারপরনাই হতাশ তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
দিন কয়েক আগে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে বছর চোদ্দর এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। বাড়ি ফেরার আগেই শুরু হয় রক্তক্ষরণ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে ওই রাতেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। ঘটনার পরে পরেই দেহ নিয়ে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। এর পরেই লাভ অ্যাফেয়ারের তত্ত্ব খাড়া করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় গোটা রাজ্যে। এর পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল। তড়িঘড়ি সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার বাড়িতে। সেখানে তিনি ভারতীয় আইন তুলে ধরে বলেন, ভালোবাসা থাকলেও নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। মহুয়ার মন্তব্য যে তৃণমূল নেত্রীর বিপ্রতীপ, তা বলাই বাহুল্য। 
গোল বেঁধেছে সৌগত-শতাব্দীর মধ্যেও। হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত বলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সেখানে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটলেও, তা লজ্জার। সৌগতর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শতাব্দী। তিনি বলেন, আমি সৌগতদার সঙ্গে এক মত নই। মহিলা-পুরুষের বিভেদের বিষয় এটা নয়। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা?
কথায় বলে, বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ হয়। তাহলে কি শেষের সেদিন শুরু হয়ে গেল তৃণমূলে?

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles