মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব বাবা-মায়েরাই চান তাঁদের সন্তান হোক শ্রেষ্ঠ। কিন্তু প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে একটি শিশুকে ছেড়ে দিলে তা তার পক্ষে ভাল হবে না। শিক্ষাবিদরা বহুবার সাবধান করেছেন,শিশুদের জোড় করে প্রতিভাবান করতে চাইলে হিতে বিপরীত হয়। তাদের নানারকম সামাজিক এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হয়।
কিন্তু আপনি যদি আপনার বুদ্ধিমান বাচ্চাকে কোনও চাপে না ফেলে তার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করতে চান, তাহলে তাতে সে অনেক দূর এগোতে পারবে।
১.শিশুর নানা ধরণের অভিজ্ঞতা: মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, দিনের পর দিন একইরকম গতানুগতিক জীবন আলস্য,স্থবিরতা ডেকে আনে। তাই শিশুকে নিত্য নতুন বিষয়ে আগ্রহী করে তুলুন।
২. শিশুকে উৎসাহিত করা:খেলাধুলো হোক বা সঙ্গীত হোক বা নাটকের ক্লাস, এসব নিয়ে আপনার শিশুর আগ্রহ থাকলে অল্প বয়স থেকে সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই প্রতিভা বিকাশের সম্ভাবনা বাড়বে। তবে 'কিছু হওয়ার জন্য' তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হিতে বিপরীত হবে। সে যা নয়, তা বানানোর চেষ্টা করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।
৩. শিশুর জানার চেষ্টার প্রশংসা করুন: তার ক্ষমতাকে নয়, শিশুর শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন। নতুন কোনও ভাষা শেখার জন্য তার চেষ্টা, এমনকি সাইকেল চালানোর জন্য তার চেষ্টাকেও উৎসাহিত করুন। জানার চেষ্টা, শেখার চেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেখার উৎসাহই পরবর্তী জীবনে তাকে সাফল্যের দরজায় নিয়ে যাবে।
৪.ভুল করলে ভয় দেখাবেন না: শিশুর ভুলগুলোকে তার শিক্ষার অংশ হিসাবে দেখতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণই আসল শিক্ষা। ভুল করলে বাচ্চাদের ভবিষ্যতে সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষমতা বাড়ে। তার গায়ে ব্যার্থতার তকমা সেটে দিলে আপনার বাচ্চা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। ভবিষ্যতে কোনো ব্যর্থতার ভয়ে সারাজীবন সে কুঁকড়ে থাততে পারে।
৫. শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ: প্রতিভাবান শিশুরা নতুন নতুন জিনিস শিখতে চায়। তাদের নিজের গতিতে শিখতে দিন। চলতি শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে তাদের সেই বিশেষ চাহিদা পূরণে বাবা-মা- শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে।
+ There are no comments
Add yours