Modi in Nepal: লুম্বিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অম্বেদকরের নামে চেয়ার, ঘোষণা মোদির

ভারতের সহযোগিতায় নেপালে লুম্বিনি মিউজিয়াম তৈরি হওয়াটা ভারত-নেপাল সৌহার্দ্যের প্রতীক। দু' দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে এই মিউজিয়াম। 
mod
mod

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুদ্ধপূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিনেই ৪ দিন নেপাল (Nepal) সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এদিন সন্ধ্যায় বুদ্ধজয়ন্তী (Buddha Jayanti) উপলক্ষে লুম্বিনি ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতের সহযোগিতায় নেপালে লুম্বিনি মিউজিয়াম তৈরি হওয়াটা ভারত-নেপাল (India-Nepal) সৌহার্দ্যের প্রতীক। দু' দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে এই মিউজিয়াম। 

লুম্বিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সংবিধান প্রণেতা বি আর অম্বেদকরের (Ambedkar) নামে 'চেয়ার ফর বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ' তৈরির কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির জন্মস্থান গুজরাতের ভডনগরে প্রাচীন বৌদ্ধশিক্ষার কেন্দ্র ছিল বলেও জানান তিনি। এখনও সেখানে সেই প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন মেলে। মোদি বলেন, "বৈশাখী পূর্ণিমার দিন লুম্বিনিতে বুদ্ধের জন্ম, ওই দিনই বুদ্ধগয়ায় তাঁর বোধিসত্ত্ব প্রাপ্ত এমনকি ওই একই দিনে কুশীনগরে তাঁর মহাপরিনির্বাণ দার্শনিক ইঙ্গিত বহন করে। একই তিথিতে বুদ্ধের জন্ম-জ্ঞান-নির্বাণ লাভ ঐতিহ্য বহন করে।"

[tw]

[/tw]

এদিন লুম্বিনি বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তাঁর স্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে ছিলেন নেপাল মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। এদিন নেপাল (Modi in Nepal) নেমেই মায়াদেবী মন্দিরে পুজো দেন নরেন্দ্র মোদি। গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত এই মন্দির। পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন অশোকস্তম্ভে প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি বোধিবৃক্ষে জল ঢালেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৪-তে শপথ নিয়েই নেপাল সরকারকে এই বৃক্ষ উপহার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। 

জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই সফর কার্যকরী ভূমিকা নেবে, বলে ট্যুইটবার্তায় জানান মোদি। ২০২০ সালে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি অলির ভ্রান্ত বিদেশনীতির জেরে প্রভাবিত হয়েছিল ইন্দো-নেপাল সম্পর্ক। সীমান্তের ঝুলে থাকা কালাপানি এলাকাকে নেপালের দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করছিল নেপাল সরকার। সেই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।

কিন্তু ওলি সরকারের পতনের পরে সেদেশে এখন দেউবা সরকার। শেরবাহাদুর দেউবা ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে তিক্ততা সরাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই দ্বিপাক্ষিক স্তরে ঝুলে থাকা সব সমস্যার সমধান আলোচনা এবং কূটনৈতিক পথেই সম্ভব বলে যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে ইন্দো-নেপাল।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles