মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi mosque) যে শিবলিঙ্গটি (shivling) পাওয়া গিয়েছে, সেটি ভগবান বিশ্বেশ্বরের। মসজিদের ভিতরে শিবলিঙ্গের পুজো হত। পুজো বন্ধ করে দিয়েছিল মুলায়ম সিং যাদবের সরকার। সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক দাবি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (kashi viswanath temple) প্রধান মহন্ত কুলপতি তিওয়ারির। বিশ্বেশ্বরের মূর্তির পুজোর অধিকারও দাবি করেন তিনি। প্রধান মহন্ত বলেন, আগে মসজিদ চত্বরে সন্ন্যাসিনীরা বসতেন। এটিও একটি বড় প্রমাণ। সত্য বেরিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন মোহন্ত।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙেই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গড়ে ওঠে মসজিদ। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বেশ্বরের মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। মন্দিরের সামনে যে নন্দীর মূর্তি রয়েছে, সেটি মন্দির কর্তৃপক্ষকে উপহার দিয়েছিলেন নেপালের রানা, ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।
মন্দির-মসজিদ বিবাদ (temple mosque controversy) গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে হয় তিনদিন ব্যাপী ভিডিওগ্রাফির কাজ। ওই সময় সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যাক্তি দাবি করেন মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ মিলেছে। তার পরেই আদালতের নির্দেশে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় মসজিদ চত্বরে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওজুখানার জলাধারে যা পাওয়া গিয়েছে, সেটি একটি পুরানো ঝর্না, শিবলিঙ্গ নয়।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?
সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান মহন্ত দাবি করেন, শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরে অনাদিকাল থেকেই একটি শিবলিঙ্গ ছিল। প্রাচীরের উত্তর দিকে জ্ঞানবাপী কূপ রয়েছে। এরই পশ্চিমে বহু আগে থেকেই রয়েছে নন্দী। তিনি বলেন, মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালের পিছনে তিনটি দোকান ছিল। সেখানে একজন চা বিক্রেতা এবং একজন মুসলিম মহিলা থাকতেন। তিনি চুড়ি বিক্রি করতেন। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আক্রমণের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। সেই সময় মহন্ত পান্না শিবলিঙ্গ নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দেন। তাঁর দাবি, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে ফোয়ারা নয়, ওই শিবলিঙ্গই রয়েছে। এই শিবলিঙ্গের নিত্য পুজোর অধিকারও দাবি করেন প্রধান মহন্ত।
+ There are no comments
Add yours