মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানার জলাধারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। ওই জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে বলে দাবি। সেই কারণেই জলাধারে নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ।
উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের পক্ষে এদিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবি জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, বেঞ্চ উজুখানা এলাকাটি সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে শিবলিঙ্গ রয়েছে। তুষার বলেন, যদি ওই জলাধারে মুসলমানদের অজু করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে হাত-পা-মুখ ধোয়া হবে। কেউ শিবলিঙ্গে পা রাখতেই পারেন। তাতে আইন-শৃঙ্খলার গুরুতর সমস্যা হবে। মসজিদের অন্য কোনও এলাকায় অবশ্য অজু করা যেতে পারে।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kasi Viswanath Temple) লাগোয়া জমিতেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুদের কয়েকটি গোষ্ঠীর দাবি, বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙেই ঔরঙ্গজেবের রাজত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি একটি সম্প্রদায়ের। হিন্দুদের একাংশের দাবি, পরে রানি অহল্যাবাই বর্তমান মন্দিরটি স্থাপন করেন। হিন্দু সংগঠনের এও দাবি, যেখানে এখন মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন।
মন্দির-মসজিদ বিবাদের(mosque temple controvercy) নিষ্পত্তি করতে মসজিদে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালত নিযুক্ত বিশেষ কমিশনকে। ভিডিওগ্রাফি চলাকালীন একটি পক্ষের দাবি, ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ মিলেছে। হিন্দুদের একটি সংগঠনের দাবি, ওই ওজুখানা ও সংলগ্ন এলাকা আদতে শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। এর পরেই ওজুখানার কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি সিআরপিএফের একজন কমান্ডান্ট(সুপার) স্তরের আধিকারিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন : অ্যাডভোকেট কমিশনারকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট জমা করতে দু’দিন সময় কমিশনকে
তবে বিচারক চন্দ্রচূড় ও নরসিমার বেঞ্চ জানায়, ওজুখানার জলাধার ব্যবহার করা না গেলেও, নমাজ পড়ায় কোনও বাধা নেই। মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা নির্দিষ্ট সময়েই গিয়ে নমাজ পড়তে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় রীতিও পালন করতে পারবেন তাঁরা।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করলেও, মসজিদ কমিটির দাবি, জলাধারে(pond) রয়েছে পুরানো একটি ফোয়ারা। তবে যাই হোক না কেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই ওজুখানার ওই জলাধারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।
+ There are no comments
Add yours