RSS on Gyanvapi issue: “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

সত্যকে কখনও লুকিয়ে রাখা যায় না...
sunil_rss
sunil_rss

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যকে কখনও লুকিয়ে রাখা যায় না। সময় এসেছে ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সমাজের সামনে নিয়ে আসার। বুধবার একথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর(sunil ambekar)। বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদের(Gyanvapi mosque) ওজুখানার জলাধারে ‘শিবলিঙ্গে’র(shivling) অস্তিত্ব মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। এই আবহে আরএসএসের প্রচার প্রধানের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

এদিন দেবঋষি নারদ পত্রকার সম্মান সমারোহ নামের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন আম্বেকর। সেখানেই তিনি বলেন, জ্ঞানবাপী সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসছে। আমি বিশ্বাস করি, তাদের বেরিয়ে আসতে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, যাই হোক না কেন, সত্য সর্বদা একটি মুক্তির পথ খুঁজে পায়। তাঁর প্রশ্ন, কতদিন লুকিয়ে রাখতে পারবেন? আম্বেকর বলেন, আমি বিশ্বাস করি এটাই সময় যে আমরা ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাখ্যা করি।

আরও পড়ুন : অযোধ্যার পর কাশী? জ্ঞানবাপী নীতি ঠিক করতে বৈঠকে ভিএইচপি

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(kashi Viswanath temple) চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়া হয়েছে বলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবি। যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির ছিল। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে তিন দিন ধরে মসজিদ চত্বরে হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। প্রথম দিন মন্দির কমপ্লেক্সে ভিডিওগ্রাফিতে বাধা দেয় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় কুমার মিশ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন তাঁরা। এর পরেই বন্ধ হয়ে যায় ভিডিওগ্রাফির কাজ। পরে ফের শুরু হয়। তিনদিন চলার পর কাজ শেষ হয় সোমবার।

এর পরেই মামলায় হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্য দাবি করেন, ভিডিওগ্রাফি করতে গিয়ে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত সংস্থা একটি শিবলিঙ্গ খুঁজে পেয়েছে। মন্দিরের অস্তিত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। এর পরেই মসজিদ সংলগ্ন ওজুখানার জলাধারটিতে কড়া প্রহরার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যাতে নির্বিঘ্নে নমাজ পড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে সমাজের সামনে নিয়ে আসার দাবি জানালেন আরএসএসের প্রচার-প্রমুখ। 

        

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles