মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামিবিয়ার (Namibia) মাটি ছুঁল বাঘ মুখ (Tiger Faced) আঁকা বিরাট জাম্বো জেট (Jumbo Jet)। বি ৭৪৭ বিমানটি এদিন নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোয়েকের মাটি ছুঁল। এই বিমানটিতে করেই ভারতে (India) নিয়ে আসা হবে আটটি চিতা (Cheeta)। উইন্ডহোয়েকে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে একটি বিশেষ পাখি বাঘের দেশে শুভেচ্ছার বার্তা বয়ে নিয়ে এল।
অগাস্টের ১৭ তারিখে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে ৮টি চিতা। এগুলির মধ্যে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিতা পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। ঘটনাচক্রে এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও। এদিনই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে ওই পার্কে। সেই চিতা আনতেই নামিবিয়া গিয়েছে ওই বিশেষ বিমান। জানা গিয়েছে, চিতাগুলিকে নিয়ে বিমানটি অবরতণ করবে জয়পুরে। সেখান থেকে সেগুলিকে কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হবে হেলিকপ্টারে করে। যে জেটে করে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে, তার অন্দরসজ্জায় বিশেষ বদল নিয়ে আসা হয়েছে। মেইন কেবিনে থাকবে চিতার খাঁচা। পুরো যাত্রাটি চিতারা থাকবে পশু চিকিৎসকদের তত্ত্ববধানে। বিমানটির সামনের দিক আঁকা হয়েছে জঙ্গলের রাজার মুখের আদলে। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়ান শেষে বিমান ছোঁবে ভারতের মাটি। সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ সকাল সাতটা নাগাদ বিমানটি এসে পৌঁছবে জয়পুরে। পরে সেখান থেকে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে পার্কে। পুরো যাত্রা পথে চিতাগুলিকে কোনও কিছু খেতে দেওয়া হবে না।
জানা গিয়েছে, প্রথম এক মাস চিতাগুলিকে খাঁচাবন্দি করে রাখা হবে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর সেগুলিকে ছাড়া হবে জঙ্গলে। চিতা পৃথিবীর দ্রুততম স্থলচর প্রাণী। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে দৌড়তে পারে এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি। চিতা ও চিতাবাঘ এক নয়। ভারতে চিতাবাঘ থাকলেও, চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে স্বাধীনতার কালে। সেই কারণেই চিতার বংশ বৃদ্ধি ঘটাতে মধ্যপ্রদেশের জাতীয় পার্কে ছাড়া হবে নামিবিয়ার চিতা।
+ There are no comments
Add yours