Howrah Violence: বিজেপিকে রুখতে অতিসক্রিয় পুলিশ! হাওড়া যাওয়ার আগেই ‘গৃহবন্দি’ সুকান্ত 

নিউটাউনের বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ...
sukanta
sukanta

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তি হল টানা দু'দিন। সড়ক অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়াছুড়ি, বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর। তার পরেও ঢাল-তরোয়াল নিয়ে পুলিশ রইল দাঁড়িয়ে। এহেন 'নিধিরাম সর্দার' পুলিশই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল শনিবার। ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিসের হাল দেখতে যখন পথে নামলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বাহাদুরি কুড়নোর আশায় তখন তাঁর পথ আগলাল সেই পুলিশই। পুলিশের বিরুদ্ধে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ সুকান্তর।

আরও পড়ুন :"ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!" কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

অগ্নিগর্ভ হাওড়া। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে পুড়েছে দোকান, পুলিশের কিয়স্ক। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিস। দু'দিন ধরে প্রতিবাদীদের তাণ্ডব চললেও, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। হাওড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি যখন নিউটাউনের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন, তখনই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। তড়িঘড়ি তাঁর বাড়ির সামনে বসিয়ে দেওয়া হয় গার্ড রেল। মোতায়েন করা হয় পুলিশ। পুলিশের এই অতিসক্রিয়তায় ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। বলেন, "পদাধিকারী হিসেবে হাওড়ায় ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিসে যাওয়া আমার কর্তব্য। কিন্তু কোনও কাগজপত্র ছাড়াই আমাকে আটকে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পুলিশ কোনও কারণ দেখাতে পারেনি। বলেছে, হাওড়ায় ১৪৪ ধারা জারি। কিন্তু হাওড়া আমার বাড়ি থেকে অনেক দূর। ১১টা নাগাদ যখন আমি বাড়ি থেকে বেরতে গিয়েছিলাম, তখনই আমাকে আটকে দেওয়া হয়। কেন আমাকে বাড়ির মধ্যে বন্দি করে রাখা হল, বুঝতে পারছি না।"

[tw]

[/tw]

হাওড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান সুকান্ত। বলেন, "মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিন ধরে বসে আছেন। কোনও পদক্ষেপ করেনি। তিনি তাঁর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কোনও পদক্ষেপ করলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। ঝাড়খণ্ডে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উচিত ছিল লাঠিচার্জ করা।

সুকান্তকে আটকানো হলেও, এদিন পাঁচলা গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিস ঘুরে দেখেন তিনি। হাওড়ার (Howrah) অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনিও। দিলীপের অভিযোগ, হাওড়া থেকে মালদহ-মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় যে অশান্তি হচ্ছে, সরকার তা থামানোর চেষ্টা করছে না। এ রাজ্যের বিরাট এলাকার মানুষ অ-সুরক্ষিত। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হিংসা চালানো হচ্ছে হাওড়ায়। তার পরেও পুলিশ তা আটকায়নি।

সুকান্তের মতোই এদিন পাঁচলা যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) গাড়ি। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারির কথা বলে পাঁচলায় তাঁকে ফের আটকায় পুলিশ। এলাকার একটি ক্লাবঘরে বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। প্রসঙ্গত, এই প্রিয়ঙ্কাই ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাজি ছিলেন বিজেপির। এদিকে, রবিবার ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিস পরিদর্শনে যাবেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। এদিন নিজেই ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

[tw]

[/tw]

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles