মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid) সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের (Kids) মধ্যে। ১২ বছরের নীচে যাদের বয়স, তাদের করোনা প্রতিষেধক (Corona Vaccine) দেওয়া হয়নি। সেই সব শিশুদের মধ্যেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য শিশুদের স্কুল বন্ধ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন কলকাতার(Calcutta) শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। অভিভাবকদের প্রতি তাঁদের আবেদন, করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সেই শিশুকে যেন কয়েকদিনের জন্য স্কুলে না পাঠানো হয়।
দিন কয়েক ধরে গোটা দেশেই করোনা সংক্রমণের লেখচিত্র ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে সোমবারের পর থেকে সেটা কিছুটা কমেছে। অবশ্য সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের। শিশুদের মধ্যে মূলত ধুম জ্বর, সর্দিকাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেটের গন্ডগোলও হচ্ছে। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ঠিকই, তবে তা কোনওভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক নয়।
আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হানায় ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল ভারতে। সেই সময় শ্বাসকষ্ট ছিল অন্যতম মূল উপসর্গ। সেবারও শিশুরা সংক্রমিত হয়েছিল। তবে তখন সংক্রমিত শিশুদের সিংহভাগকেই ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। এবার অবশ্য এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। সিএমআরআই হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শতরূপা মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা খুব কম শিশুর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গতবার যেটা খুব বেশি ছিল। তিনি বলেন, ১২ বছরের শিশুরা যেহেতু টিকাপ্রাপ্ত নয়, তাই অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের জ্বর বা কাশি হলে স্কুলে পাঠানো যাবে না।
আরও পড়ুন : সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!
কলকাতার বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, এবার সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়েছে। কিন্তু যেহেতু রোগীরা মূলত মৃদু উপসর্গেই সংক্রমিত, তাই জরুরি কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এবারের মূল উপসর্গ মৃদু জ্বর ও সর্দিই। এই সংক্রমণের জেরে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। সংক্রমণ বাড়লেও, স্কুল বন্ধ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন আর এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শান্তনু রায়। তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান নয়। কারণ এর ফল মারাত্মক। শিশুরা প্রায় দু বছর স্কুলে যায়নি। তাই তাদের ক্যাম্পাসে ফিরতেই হবে। মাস্ক পরতে বাধ্য করা, জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের স্কুলে না পাঠানো, ঘেঁষাঘেঁষি না করে বসার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে স্কুলগুলিকে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৩ জন। এর মধ্যে কলকাতায়ই সংক্রমিত হয়েছেন ৭১৭ জন।
+ There are no comments
Add yours