Cattle Smuggling: গরু পাচার মামলায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতর? আদালতে তথ্য দিল সিবিআই

ধৃত সায়গলের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত...
sehgl
sehgl

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ। শুক্রবার সিবিআই (CBI) আদালতে তোলা হয় সায়গল হোসেনকে। তখনই অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির কথা বিচারককে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন ৪৫টি জমির দলিল জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সেগুলি সবই অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে। 

গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। অনুব্রত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সূত্রের খবর, এদিন যে জমিগুলির দলিল আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে সেগুলি অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে ও প্রয়াত স্ত্রীর নামে রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, জমিগুলি কেনা হয়েছে ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। যার অর্থ, সায়গলের যে সময় সম্পত্তি কেনাবেচার হদিশ মিলেছে, সেই সময়ই জমি কেনা হয়েছে অনুব্রতর নামেও। যদিও সায়গলের আইনজীবীর দাবি, তাঁরা এ ধরণের সম্পত্তির হিসাব সম্পর্কে কিছু জানেন না। এ ধরণের জমির দলিল আদালতে জমা পড়েছে কিনা, তাও জানা নেই। সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, গরু পাচার একটি স্মাগলিং কেস। এই কেসে এখনও পর্যন্ত কোনও স্মাগলার গ্রেফতার হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কাস্টমস অফিসারও গ্রেফতার হয়নি। কোনও বিএসএফ অফিসারও গ্রেফতার হয়নি। গরু পাচার হয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে বাংলাদেশে। অন্য রাজ্যের কোনও পুলিশ বা অন্য কেউ গ্রেফতার হয়নি। যে দেশে এই গরুপাচার হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, সেদেশেও এই ঘটনা ঘটেছিল কিনা তার তদন্ত হয়নি। হঠাৎ করেই বীরভূমকে টার্গেট করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই এজেন্সি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই কাজ করছে।

আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

এদিকে, এদিন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার ফের সায়গলের প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে তার জামিনের বিরোধিতা করেন। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২২ জুলাই।

গত ১০ জুন সায়গলকে প্রথম আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। সেদিন সিবিআই সাতদিনের হেফাজতে নেয় তাকে। এরপর ফের ১৭ জুন সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয় তাকে। সেদিনও বিচারক জামিন নাকচ করে সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২৪ জুন ফের আসানসোল সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয় সায়গলকে। সেদিন সায়গলের জেল হেফাজত হয়। এদিন ফের তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী। সিবিআইয়ের দাবি, তার কাছেই গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। সিবিআই সায়গলকে একাধিকবার নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সায়গলের বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কেবল সায়গল নয়, এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এনামুল হক ও বিএসএফের কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে। এই মুহূর্তে তাঁরা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত। তবে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনও পলাতক। যদিও তাঁর ভাই বিকাশকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles