RSS Kerala: ‘সাজানো অভিযোগ’, সিপিএম কর্মী হত্যা মামলায় কেরলে নিষ্কৃতি ১৩ আরএসএস কর্মীর 

আদালত বলে, যে সাক্ষীদের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির করা হয়েছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। 
Kerala_HC
Kerala_HC

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৮ সালে সিপিএম কর্মী (CPIM Worker) খুনে (Murder) অভিযুক্ত ১৩ জন আরএসএস কর্মীকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল কেরলের উচ্চ আদালত (Kerala HC)। ১৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে এই ১৩ আরএসএস (RSS) কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছিল তিরুবন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) নিম্ন আদালত।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে এই অভিযুক্তরা এই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। বিচারপতি চন্দ্রন এবং সি জয়া চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিপরীতে গিয়ে উচ্চ আদালত বলে, "আদালতের সামনে পুরো মামলাটিকে সাজিয়ে পেশ করা হয়েছে। যেন একটা সাজানো গল্প। মিথ্যে সাক্ষীও হাজির করা হয়েছে এই মামলায়। মিথ্যে প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। তাই অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী সঠিক তথ্য-প্রমাণ দিতে ভয়ঙ্করভাবে ব্যর্থ  হয়েছেন।" 

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের

আদালত বলে, "যে সাক্ষীদের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির করা হয়েছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। কোনও ঠোস প্রমাণও যোগার করা যায়নি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যেসব প্রমাণ দেখানো হয়েছে সেগুলি মিথ্যে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফাঁসানো হয়েছে ওই আরএসএস কর্মীদের।"  

সরকারপক্ষের আইনজীবীর যুক্তি ছিল যে, আরএসএস কর্মীরা ২০০৮ সালে তিরুবনন্তপুরম পাসপোর্ট অফিসের বাইরে বিষ্ণু নামের এক সিপিআইএম কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল এবং এটা আরএসএসের সাংগঠনিক ষড়যন্ত্র ছিল। 

আরও পড়ুন: সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, পদত্যাগে বাধ্য কেরলের মন্ত্রী

ঘটনার পর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারা ১২০বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশ), ১৪৭ (দাঙ্গা), ১৪৮ (অস্ত্র রাখার অপরাধ), ৩০২ (হত্যা) -সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। 

শুনানির সময় থেকেই অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল সিপিআইএম মামলাটিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং আইনকে ভুল পথে চালনা করছে। অভিযুক্তদের যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন সেই আইনজীবী। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles