মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম (Islam) বিরোধী না হলে তারা আন্তর্জাতিক মহলের (International Community) সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। সম্প্রতি একথা জানিয়ে দিল আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান (Taliban) শাসক। সে দেশের পাপ-পুণ্যের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি বলেন, আমরা কেবল অনুসরণ করি আল্লাহ, পয়গম্বর মহম্মদ, রাশিদানের খলিফা এবং আমাদের আইন প্রণয়নকারীদের। যা কিছু ইসলামের বিরুদ্ধে, আমরা তা গ্রহণ করব না। সম্প্রতি গজনি সফরে গিয়েছিলেন হানাফি। সেখানেই একথা জানান তিনি। সরকারি কর্মচারীদের শাহরিয়া অনুসারে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি।আফগানিস্তানের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি জানান, ইসলামিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে কাজ করা উচিত সমস্ত প্রদেশ, জেলা এবং মন্ত্রিসভায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের। তিনি বলেন, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর একশো শতাংশ মহিলাকে হিজাব পরতে দেখা যাচ্ছে। আগে যা হত না।
আরও পড়ুন : প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে তুলে ধরা হয়েছে, গত দশ মাসে কীভাবে আফগানিস্তানে লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে এই দশ মাস ধরে আফগানিস্তান শাসন করছে তালিবান শাসক। সেই সময়ই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে প্রকাশ।
গত বছর অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালিবান। এই সময়সীমার মধ্যে ঠিক কতগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি ওই রিপোর্টে। তবে সে দেশে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই যে সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে নানা ভাবে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, দুর্ব্যবহার, আইন বিরুদ্ধভাবে হত্যা, কোনও কারণ ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার এবং আটক করার ঘটনা ঘটছে আকছার।
আরও পড়ুন : আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান
এদিকে, তালিবান শাসকদের দেশবাসীকে শ্রদ্ধা করার পরামর্শ দিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর মহম্মদ ইশাক আখুন্দাজা। তিনি বলেন, যাঁরা সরকারে রয়েছেন কিংবা জেলা অফিসে চাকরি করেন কিংবা অন্য কোনও দফতরে কর্মরত, তাঁদের উচিত জনগণের সমস্যার সমাধান করা।
+ There are no comments
Add yours