Coochbehar Accident: পিক-আপ ভ্যানে শর্ট-সার্কিট, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোচবিহারে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর

Coochbehar: পিক-আপ ভ্যানে বাজছিল ডিজে। পাশেই ছিল জেনারেটর। কখন তাতে শর্ট সার্কিট হয়ে গেছে...
coochbeharacci
coochbeharacci

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিক-আপ ভ্যানে বাজছিল ডিজে। পাশেই ছিল জেনারেটর। কখন যে তাতে শর্ট সার্কিট হয়ে গেছে, তা টেরই পাননি কেউ। তাতেই ঘটল বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১০ পুণ্যার্থীর। 

রবিবার গভীর রাতে চ্যাংরাবান্ধায় (Changrabandha) ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে প্রায় ১৫-২০ জন পুণ্যার্থী একটি পিক-আপ ভ্যানে চেপে জল্পেশের দিকে যাচ্ছিলেন। চ্যাংরাবান্ধার ধরলা সেতু পার হওয়ার পর  ময়নাগুড়ি-মাথাভাঙা সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জেনারেটর থেকে সেই গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয় বলে জানান কয়েকজন পুণ্যার্থী। আহত এক পুণ্যার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা গাড়িতে জেনারেটরের সাহায্যে ডিজে বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় জেনারেটর থেকে গাড়িটিতে শর্টসার্কিট হয়ে যায়। গাড়ির মধ্যে থাকা কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লুটিয়ে পড়েন। চালক অসুস্থদের চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

আরও পড়ুন: গাড়ি ভর্তি টাকা! হাওড়ায় আটক ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত

জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক সহ ৩৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ঘটনার পরই ৭ জন অন্য গাড়িতে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ১৪ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। খবর পেয়ে রাতে চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে যান মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, মেখলিগঞ্জ পুলিশের এসডিপিও অরিজিত পাল চৌধুরী, ওসি রাহুল তালুকদার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।

মৃতদের বাড়ি শীতলকুচিতে। ঘটনার জেরে এলাকায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির ছেলেকে আর ফিরে পাবেন না ভাবতেই পারছেন না মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কোন গাফিলতিতে অকালে ঝরে গেল এতগুলো প্রাণ। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।

প্রশ্ন উঠছে গাড়িতে এমনিতেই ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ। তার ওপরে জেনারেটর সেট গাড়িতে রাখা হয়েছে যেটা অত্যন্ত বিপদজনক। এছাড়াও গাড়িতে ডিজের অপারেটর থাকলেও জেনারেটর সেটের কোনও অপারেটর ছিলেন না। যাঁরা গাড়িতে ছিলেন তাঁরাও জেনারেটর পরিচালনায় দক্ষ নন। ফলে জলে ভিজে  কি বিপদ হতে পারে তা নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না গাড়িতে সওয়ার যাত্রীদের। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সোমবার মেখলিগঞ্জে যান পুলিশের ডিআইজি সি সুধাকর। সঙ্গে ছিলেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার, মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, এসডিপিও অরিজিৎ পাল চৌধুরী।

আরও পড়ুন: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles