Ayman al-Zawahiri: চিকিৎসক থেকে জঙ্গি ! জেনে নিন আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির ইতিহাস

কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিনের ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে চোখের অস্ত্রপচারেও দীর্ঘদিন হাত পাকান তিনি। নিজস্ব ক্লিনিকও খোলেন জাওয়াহিরি।
1-2-NEW
1-2-NEW

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাবুলে আমেরিকার ড্রোন হানায় (US Drone strike) নিহত হয়েছেন আল কায়দার (Al-Qaeda) প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি (Ayman Al-Zawahiri)। ৯/১১ হামলার অন্যতম চক্রীর আফগানিস্তানে (Afghanistan) মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)।

লাদেনের (Osama Bin Laden) হত্যার ১১ বছর পর এবার তাঁর ডানহাতকে খতম করল বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। কাবুলে দীর্ঘদিন ধরে ঘাঁটি গেঁড়ে বসা এই কুখ্যাত জঙ্গি আসলে ছিলেন একজন চক্ষু চিকিৎসক। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তার নিজস্ব সংগঠন তৈরি হয়েছিল। ছেলেবেলা থেকে জাওয়াহিরিও মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিশোর বয়সে কাকার হাত ধরেই মিশরের ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের সমালোচনা করতে শুরু করেন জাওয়াহিরি। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বন্ধুদের নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করে ফেলেছিলেন জাওয়াহিরি। নাম দিয়েছিলেম 'জামাত-আল-জিহাদ'। যাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল মিশরের তৎকালীন সরকারকে গদিচ্যুত করা।

তবে নিজস্ব সংগঠন তৈরি করলেও পারিবারিক রীতি মেনে ডাক্তিরি পড়তে শুরু করেন জাওয়াহিরি। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিনের ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে চোখের অস্ত্রপচারেও দীর্ঘদিন হাত পাকান তিনি। নিজস্ব ক্লিনিকও খোলেন জাওয়াহিরি। এক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে আজা নোয়ের সঙ্গে বিবাহ হয় জওয়াহিরির। তাদের এক পুত্র এবং এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

আরও পড়ুন: মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি

সোভিয়েতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তৎকালীন মুজাহিদিন যোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন অয়মান আল-জওয়াহিরি (Ayman Al Zawahiri)। সেখানেই ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তাঁর দেখা। ১৯৮১ সালের ৬ অক্টোবর মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের হত্যায় জাওয়াহিরির হাত ছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতার হন তিনি। তিন বছর জেল খাটার পর মুক্তি পান তিনি। এরপর লাদেনের সঙ্গে তার যোগাযোগ বাড়ে। লাদেনের ব্য়ক্তিগত চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন। লাদেনের রক্তচাপের সমস্যা, সুগারের মাত্রা সহ সমস্ত বিষয়গুলি তিনিই পর্যবেক্ষণে রাখতেন। ধীরে ধীরে জাওয়াহিরির সংগঠনটি লাদেনের আল কায়দার সঙ্গে মিশে যায়। সেই সময় লাদেনের উপদেষ্টা পদে বসেন তিনি। এরপর একে একে ১৯৯৮ সালে দু’জনে মিলে কেনিয়া এবং তাজানিয়ায় আমেরিকার দূতাবাসে হামলা চালান। এর ঠিক তিন বছর পর ভয়াবহ ৯/১১ হামলার ঘটনা ঘটে। যা লাদেন-জাওয়াহিরির মিলিত উদ্যোগ। ২০১১ সালে লাদেনের মৃত্যুর পর আল কায়দার রাশ জওয়াহিরির হাতে চলে যায়।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles