মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লেফটান্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার (Vinai Kumar Saxena) সাক্সেনা অনুমতি দেওয়ার একদিন পরেই, আবগারি কমিশনার আরাভা গোপি (Arava Gopi) এবং ডেপুটি কমিশনার আনন্দ তিওয়ারিকে (Anand Tiwari) সাসপেন্ড করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। আবগারি নীতি ২০২১-২২ (Delhi Excise Policy 2021-22) প্রণয়ন এবং কার্যকর করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ১১ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।
আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির
আবগারিনীতি দুর্নীতি নিয়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার এবং লেফট্যান্যান্ট গভর্নরের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব বেঁধেছে। সোমবার ১১ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করার অনুমতি দেন লেফট্যান্যান্ট গভর্নর। এই ১১ জনের তালিকাতেই ছিলেন গোপি এবং তিওয়ারি। এছাড়াও যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা হলেন, পঙ্কজ ভাটনাগার, নরিন্দর সিং, নিরজ গুপ্ত, সেকশন অফিসার কুলজিত সিং, সুভাষ রঞ্জন, সত্যব্রত ভার্গভ, সচিন সোলাঙ্কি এবং গৌরব মান।
গত শুক্রবার সকালেই আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা এর আগেই আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আবগারি নীতি দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে
১৬ নভেম্বর ২০২১ সালে নয়া আবগারি নীতির প্রবর্তন করেছিল দিল্লি সরকার। নতুন নীতিতে মদ কেনার পদ্ধতির পাশাপাশি মদ বিক্রির পদ্ধতিতেও বিস্তর বদল নিয়ে আসা হয়েছিল। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে ঢালাও বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির সরকারের পরিকল্পনা ছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলার। গোটা শহররে ৩২টি অঞ্চল জুড়ে এই মদের দোকানগুলির খোলার পরিকল্পনা ছিল এবং প্রত্যেকটি জোনে ২৭টি করে মদের দোকান থাকার কথা ছিল। এবং একটি জোনের সবকটি দোকানই একজন লাইসেন্সধারীর অধীনে থাকবে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন।
আগের আবগারি নীতিতে দিল্লির মোট ৮৬৪টি মদের দোকানের মধ্যে চারটি সরকারি সংস্থা রাজ্যে ৪৭৫টি মদের দোকান চালাত এবং বাকি ৩৮৯টি দোকান বেসরকারি মালিকদের হাতে ছিল।
নতুন আবগারি নীতিতে দিল্লি সরকারের কোষাগারে ব্যাপক লাভের অঙ্ক ঢুকলেও, আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকি আর্থিক দুর্নাীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে নতুন আবগারি নীতি বাস্তবায়নের ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিনিধি তথা দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা দিল্লি সরকারে এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। তারপরেই তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। আর এই মামলাতেই সাসপেন্ড করা হয় আবগারি দফতরের এই আধিকারিকদের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours