মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রাণু, ডিম্বানু ছাড়াই গবেষণাগারে তৈরি হল ভ্রূণ! এটি বিশ্বের প্রথম সিন্থেটিক ভ্রূণ। অবাক হচ্ছেন যে কীভাবে শুক্রাণু ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করা গেল? কিন্তু এমনই তথ্য উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (Weizmann Institute Of Science) বিজ্ঞানীরা এই সিন্থেটিক ভ্রূণ তৈরি করে এক অসাধ্যকে সাধন করেছেন।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু কম, জেনে নিন কেন কমে, বাড়াবেনই বা কীভাবে?
তবে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন যে কী এই সিন্থেটিক ভ্রূণ? বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভ্রূণের ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর কোনওরকম নিষিক্তকরণ করানো হয়না। অর্থাৎ ফার্টিলাইজেশন ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করা হলে তাকে সিন্থেটিক ভ্রূণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। তবে কীভাবে এই ভ্রূণ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা? বিজ্ঞানীদের থেকে জানা গিয়েছে যে, ইঁদুর থেকে স্টেম সেল ব্যবহার করে ভ্রূণের মতো কোষ গঠন তৈরি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, যার একটি অন্ত্র, একটি মস্তিষ্কের মতো গঠন এবং একটি স্পন্দিত হৃদয় ছিল। বিজ্ঞানীদের দলটি প্রাকৃতিক ভ্রূণের মত এই কৃত্রিম ভ্রূণেও চারপাশে প্লাসেন্টা বা কুসুম-থলির মতো কোষ দেখতে পেয়েছিলেন। তবে এই ভ্রূণটি সাড়ে ৮ দিন পর্যন্ত বিকশিত হয়েছিল ও এই কয়েকদিনে একটি স্পন্দিত হৃৎপিণ্ড, রক্তের স্টেম সেল সঞ্চালন, একটি মস্তিষ্ক, একটি নিউরাল টিউব এবং একটি অন্ত্রের ট্র্যাক্ট গঠিত হয়ে গিয়েছিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্টেম সেল ভ্রূণের মতো কোষ গঠন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে প্রায় ০.৫ শতাংশ স্টেম সেল মিলিত হয়ে ছোট বলের আকার ধারণ করে। আর ওই বল থেকেই ট্যিসু বা কলা উৎপন্ন এবং অঙ্গের বিকাশ ঘটে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অভ্যন্তরীণ গঠন এবং কোষের জেনেটিক প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক ইঁদুরের ভ্রুণের সঙ্গে তুলনা করলে কৃত্রিম এই ভ্রূণের ৯৫ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৮ মিলিয়ন বছর পুরনো ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল সাহারায়
বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন, এর পরবর্তীতে তাঁরা আরও এই বিষয়ে গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। কীভাবে এই স্টেম সেলগুলি কাজ করে, বা কীভাবে একটা স্টেম সেল বুঝতে পারে যে তাকে কী করতে হবে। এগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে কোন কোন কাজে লাগানো যেতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করবেন তাঁরা।
+ There are no comments
Add yours