Anubrata Mandal: সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

আদালত কক্ষে মজুত করে রাখা হয়েছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার ও নেবুলাইজার...
anubrata_f
anubrata_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ হল অনুব্রতর। তবে এখনই জামিন পাচ্ছেন না গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বুধবার আসানসোলে (Asansole) সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অনুব্রত অসুস্থ হতে পারেন ভেবে আগেভাগেই আদালত কক্ষে মজুত করে রাখা হয়েছিল ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার ও নেবুলাইজার। যদিও তা কাজে লাগেনি।

গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case ) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। বার দশেক তলব করা হলেও, মাত্র একবারই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। পরে বাড়ি ঘিরে ধরে ঠাকুরঘর থেকে তাঁকে তুলে আনে সিবিআই। তার পর থেকে এ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন অনুব্রত। বুধবার তাকে ফের তোলা হয় আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সেখানেই হয় শুনানি। এদিন অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। বলেন, দরকার হলে বীরভূমে থাকব না। নিজাম প্যালেসের পাশে বাড়ি করে থাকব। বীরভূমের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকব না। তিনি বলেন, আমার মক্কেলের স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে। এই রোগে কারও প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন : রাজীবের চালকল থেকে অনুব্রতর স্ত্রীকে ২১ লক্ষ টাকা অগ্রিম, লেনদেনে বিদ্যুৎও, তদন্তে সিবিআই

অনুব্রতর জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বলেন, এখন তদন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এখন অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। তাঁর মতে, এটি একটি বৃহত্তর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অভিযুক্ত অর্থের উৎস দেখাতে পারেননি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ ও বাড়ির লোকেদের নামে। কিন্তু উনি কিছুই বলতে পারছেন না। অভিযুক্ত প্রভাবশালী। এবং শুরু থেকেই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। উনি তদন্তে অংশগ্রহণই করেননি।সরকারি আইনজীবী বলেন, একজন সাধারণ মানুষ পদমর্যাদা আর ক্ষমতা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। উনি সেই এলাকার জেলা সভাপতি যেখানে গরু পাচার চক্র চলছে। নিজের পদ ব্যবহার করে তিনি পাচারের পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছিলেন। একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলা হচ্ছে। সরকারি আইনজীবী বলেন, পশুর হাট থেকে গরু পাচার হত। তার প্রমাণও আছে। বিএসএফও এর সঙ্গে জড়িত। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরে বিচারক অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে রাখা হচ্ছে আসানসোল জেলে। এই জেলেই রয়েছেন ওই মামলায় ধৃত অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles