মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে (UNHRC) কাঠগড়ায় চিন। সে দেশের শিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশে মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগ উঠল। ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য চিনও। সেখানেই অভিযোগ উঠল বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। রিপোর্ট বলা হয়েছে, ‘শিনজিয়াংয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে।’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশলেট তাঁর মেয়াদ শেষের আগে এই রিপোর্ট পেশ করেছেন। এতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের ‘স্বশাসিত’ শিনজিয়াং প্রদেশে চিন সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চালাচ্ছে।
রিপোর্ট পেশ করে চিলির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিশেল বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম কার্যকালের মেয়াদ শেষের আগেই আমি এটি পেশ করব। আমি কথা রাখতে পেরেছি।’’ উল্লেখ্য, চল্লিশের দশকে স্বাধীন রাষ্ট্র পূর্ব তুর্কিস্তান দখল করে শিনজিয়াং প্রদেশ নামকরণ করেছিলেন চিনের প্রয়াত চেয়ারম্যান মাও জে দং।
আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের 'জিরো কোভিড নীতি', ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ
গত কয়েক বছর ধরেই বারে বারে ওই অঞ্চলে নীপিড়নের অভিযোগ উঠেছে শি জিনপিং (Xi Jinping) সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ বন্দি করে রাখা হয়েছে। জোর করে তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক উইঘুর মুসলিমরা! অভিযোগ, জোর করে তাদের অঙ্গ কেটে বিক্রি করছে বেজিং! অভিযোগ, শিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে চিন সরকার। গত চার বছরেই অধিকাংশ মসজিদ ভাঙা হয়েছে, বলে দাবি। নষ্ট করা হয়েছে, মাজার, কবরস্থান। শিনজিংয়া প্রদেশের রাজধানী উরুমকি এবং বাণিজ্য শহর কাশগড়ে প্রকাশ্যে নমাজ পাঠ, রোজা পালনের মতো ধর্মীয় কর্মসূচিতেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours