মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে অ্যান্ডয়েড (Android) ব্যবহরকারীদের জন্য গুগল (Google) নিয়ে এসেছে খুশীর খবর। এবার থেকে কল, মেসেজ করার জন্য মোবাইল ফোনে আর নেটওয়ার্কের প্রয়োজন হবে না। কারণ এখন থেকে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেই করা যাবে যাবতীয় কাজ। সম্প্রতি এমনই একটি ফিচার নিয়ে আসছে অ্যাপেল আইফোন ১৪ (Apple iPhone 14) সিরিজ। চলতি সপ্তাহেই লঞ্চ হবে নতুন আইফোন। তবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের চিন্তা করারও কোনও কারণ নেই। কারণ গুগল (Google) খুব শীঘ্রই অ্যান্ড্রয়েড ১৪ স্মার্টফোনেও এই বৈশিষ্ট্য যোগ করতে চলেছে।
স্পেসক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি স্পেস এক্স (SpaceX) ও টি মোবাইল (T-Mobile) এই দুটি সংস্থা যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে ও সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে স্মার্টফোনগুলি সরাসরি কৃত্রিম উপগ্রহের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম হবে। আর এই সংযোগ স্থাপন স্টারলিং ভি2 (Starlink V2) স্যাটেলাইটের সঙ্গে করা হবে।
গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোশি লকহেইমার (Hiroshi Lockheimer) একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভার্সনে এই পরিষেবা নিয়ে আসতে চলেছে গুগল। তিনি ট্যুইটে লেখেন, স্মার্টফোনে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি (কৃত্রিম উপগ্রহ সংযোগ) ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ফোনে ৫জি সাপোর্ট ও ফিচার পাওয়া মুশিকল, মানছেন বিশেষজ্ঞরা
আরও জানা গিয়েছে, জিএসএম এরিনা (GSM Arena) অনুসারে, মোবাইলে স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে কোনও সফ্টওয়্যারের দরকার পড়বে কি না তা জানানো হয়নি। তবে স্পেস এক্স ও টি মোবাইল কোম্পানি তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে অ্যান্ড্রয়েড ১৪ লঞ্চ হতে চলেছে আর তখনই এই ফিচারটি পরীক্ষা করার জন্য বিটা পরীক্ষকদের কাছে এটি পাঠানো হবে। প্রথমে এটি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যবহার করা যাবে। পুরো বিশ্বে যাতে এই ফিচারটি ব্যবহার করা যেতে পারে, তার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তবে অনেকের ধারণা স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি মানে অনেক উচ্চ গতিতে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। কিন্তু এমনটা হয়, এই বৈশিষ্ট্যর অন্যতম সুবিধা হল প্রান্তিক, জনমানবহীন অঞ্চলে সেলুলার নেটওয়ার্ক না থাকলেও সেই ব্যবহারকারী এই ফিচারের মাধ্যমে মেসেজ ও কলিংয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে। এই নেটওয়ার্কটি ডাটা প্রসেস করতে পারবে প্রতি সেলুলার জোনে প্রায় ২ এমবিপিএস (মেগাবাইট-পার-সেকেন্ড) থেকে ৪ এমবিপিএস হবে। এটি বেশ ধীর গতির হলেও কয়েক হাজার মেসেজ পাঠানো সম্ভব।
জিএসএমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ পৃথিবীর যেকোনো স্থানে ১ থেকে ২ হাজার ভয়েস কলের জন্য যথেষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃত্রিম উপগ্রহের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা টেক্সটিং, ভয়েস কল করতে এবং মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আগের ভার্সনগুলোকে আপগ্রেড করলেই এই নেটওয়ার্ক সুবিধা পাওয়া যাবে নাকি নতুন অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোন কিনতে হবে সে ব্যাপারটি এখনো জানা যায়নি।
+ There are no comments
Add yours