মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই কি বলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! প্রায় দেড় বছর আগের এক মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণার তদন্তে নেমে মিলল যখের ধন! উদ্ধার কোটি কোটি টাকা! আসলে আর্থিক তছরুপ মামলায় (PMLA) শনিবার রাজ্যের ৬ জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। মোবাইল অ্যাপ (Mobile App) সংক্রান্ত প্রতারণার মামলায় হানা দিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তদন্তকারী দলের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণনায় মেলে ১৭.৩২ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর নথি ও নগদ টাকা।
কিন্তু কীসের ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল তদন্ত? ইডি সূত্রে খবর, গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি মাসে পার্কস্ট্রিট থানায় প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের আঙুল তোলা হয় জনৈক আমির খান ও আরও কয়েকজনের দিকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে ইডি।
জানা গিয়েছে, জনৈক নিশার আহমেদ খানের ছেলে আমির খান ই-নাগেটস নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ করে। লোক ঠকানোর জন্যই পাতা হয়েছিল এই ফাঁদ। প্রথম দিকে অ্যাপ ব্যবহারকারীরা কমিশন সহ পুরস্কৃত হতেন। পুরস্কারের টাকা এবং কমিশন জমা হত ওয়ালেটে। টাকাও তোলা যেত কোনও রকম ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই। এভাবে আমির অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জন করত। পরে মোটা টাকা কমিশন ও পারচেজ অর্ডারের লোভে বড় অঙ্কের টাকা লগ্নি করতে শুরু করেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। এভাবে বিরাট অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর অ্যাপ থেকে আর টাকা তোলা যেত না। সিস্টেম আপগ্রেডেশন সহ নানা অছিলায় অ্যাপে সমস্যা হচ্ছে বলে বলা হত। পরে সার্ভার থেকে অ্যাপ ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য মুছে ফেলা হত। তখনই প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারতেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুন : শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?
এদিন তদন্ত করতে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা এ সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন। আমিরের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭.৩২ কোটি টাকা। তবে মূল চক্রী আমির খানকে গ্রেফতার করা যায়নি। সে কোথায় গা-ঢাকা দিয়েছে, তাও জানা যায়নি। এদিন গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়ি থেকে প্রথমে অন্তত সাত কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা। পরে নিউটাউনে তার অফিস থেকেও মেলে বেশ কয়েক কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭.৩২ কোটি।
+ There are no comments
Add yours