Karnataka Hijab Row: বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে, হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্ট 

আদালতের কোরানের ব্যাখ্যা করার অধিকার নেই। হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই দাবি করল মুসলিম পক্ষ। 
1018815-953467-supreme-court-file
1018815-953467-supreme-court-file

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের কোরানের ব্যাখ্যা করার অধিকার নেই। হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই দাবি করল মুসলিম পক্ষ। এর উত্তরে সুপ্রিম কোর্ট কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) পাশে দাঁড়িয়ে (Supreme Court on Hijab ban case) বলে, "বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে। মামলাকারীরাই মামলায় হিজাবের পক্ষে সওয়াল করার সময় কোরানের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।" মুসলিম তরফে বলা হয়েছে, কোরান অনুযায়ী হিজাবের (Hijab Row) আবশ্যকতা বিচার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু নিজের সম্মান এবং পরিচয় বজায় রাখতে কেউ যদি হিজাব পরতে চায়, তাহলে তার অধিকারে বাধা দেওয়া উচিত কিনা, তা বিবেচনা করে দেখা উচিত। কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম ছাড়া অন্য পোশাক পরা যাবে না। ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে অন্য কোনও পোশাক পরতে দেওয়া যায় না।  

আরও পড়ুন: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

মুসলিম পক্ষের আইনজীবী ইউসুফ মুছালা সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, “অমৃতধারী শিখ মহিলারা পাগড়ি পরেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পাগড়ি পরা থেকে তাঁদের আটকানো হয় না। সেই কথা মাথায় রেখেই মুসলিম পড়ুয়াদের হিজাব পরার অধিকার দেওয়া উচিত।” একই সঙ্গে কোরানের অর্থ বিবেচনা করে হিজাবের গুরুত্ব বুঝতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিজাব পরার গুরুত্ব রয়েছে কিনা, সেই নিয়ে বিচার করার অর্থ ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা।” তার উত্তরেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, "নেহাত বাধ্য হয়েই কোরান প্রসঙ্গ টেনে আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে।"

বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশনের স্পষ্ট বক্তব্য, "আপনাদের ধর্মাচরণের অধিকার থাকতেই পারে। কিন্তু তা কি স্কুলে দেখানো যায়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট পোশাকই সকলকে পরতে হয়?” এমনকি বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রশ্নও তোলে, "তাহলে কি পড়ুয়ারা স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে মিনি, মিডি যা খুশি পরে আসতে পারে? রাজ্য কারোর পোশাক পরার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে না। শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

এই প্রসঙ্গে মুসলিম পক্ষের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ এইচ মুছালা এবং সলমন খুরশিদ বলেন, "আদালত আরবি ভাষায় দক্ষ নয়। যে কারণে হিজাব নিয়ে কোরানের ব্যাখ্যা বুঝতে অসুবিধে হয়েছে। কোরানেও কিন্তু হিজাবকে মহিলার অধিকার রক্ষার পোশাক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।"

এর আগে মুসলিম পক্ষ হিজাবকে ইসলামে অপরিহার্য বলে দাবি করেছিল। সোমবার বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি করেন। বুধবারও চলবে হিজাব মামলার শুনানি।

ভারত ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে হিজাব নিয়ে বিতর্ক চলছে। ফ্রান্স এই পোশাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে সেখানে নারীবাদী সংগঠনগুলি নারীর অধিকারের লড়াই চালাচ্ছে। 

গত ৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক (Karnataka) সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই সেই রাজ্যে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles