Cyclone Sitrang: একদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, অন্যদিকে অমাবস্যার ভরা কোটাল! উপকূলে জারি বিশেষ সতর্কতা

দিঘায় মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
sitrang_
sitrang_

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang), অন্যদিকে অমাবস্যার ভরাকোটাল আর চন্দ্রগ্রহণ। তিন দশায় সমুদ্র আরও উত্তাল হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে। এদিন দিঘা উপকূলেও আগাম সতর্কবার্তা জারি করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। আর তার ফলে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ও ভরা কোটালের ফলে জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এর ফলে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য উপকূলবর্তী অঞ্চল জুড়ে সতর্ক করছে পুলিশ-প্রশাসন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মাইকিং। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হচ্ছে অবিলম্বে সমুদ্র থেকে ফিরে আসার জন্য। আগামী ২২ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার থেকে ২৪ অক্টোবর, সোমবার পর্যন্ত দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার থেকেই এব্যাপারে প্রশাসনের তরফে দিঘা সৈকতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কালীপুজোর দিনই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং'? কী হবে এর গতিপ্রকৃতি? জানুন

আবার বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সুন্দরবন উপকূলেও। নামখানা, সাগরদ্বীপে তাণ্ডব চালাতে পারে সিত্রাং সেকারণে সকাল থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মাইকে করে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়াও কাকদ্বীপ মহকুমায় মাইকিং শুরু হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমায় পাঁচটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মূল কন্ট্রোল রুমটি খোলা হয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের অফিসে। বাকি চারটি খোলা হয়েছে কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা ও পাথরপ্রতিমা ব্লকে। ফ্লাড শেল্টারগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এছাড়াও কাকদ্বীপ মহকুমায় ৬৪টি মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টার এবং ১১৭টি স্কুলবাড়িকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ফ্লাড শেল্টারগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাকদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

আবহাওয়া দফতর অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang)। তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে সে। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের দিকে। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে সিত্রাং। সূত্র অনুযায়ী, ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে সিত্রাং।

নবান্নের তরফে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণের বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লক অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসে ত্রিপল ও শুকনো খাবার মজুত রাখা হচ্ছে। এসডিআরএফ ও এনডিআরএফের দলকেও উপকূল এলাকায় মোতায়েন রাখা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles