Cyclone Sitrang: ১১০ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসছে সিত্রাং, কোথায় প্রভাব বেশি?

জমি থেকে ধান তুলে নিতে আর্জি, চালু হেল্পলাইন নম্বর।
Cyclone_Sitrang
Cyclone_Sitrang

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ( (Cyclone Sitrang)। আন্দামানে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তই শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর সেই নিম্নচাপই বঙ্গোপসাগরের উপরে পৌঁছেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। কালীপুজোর দিনই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এ পরিণত হতে পারে এই নিম্নচাপ। মঙ্গলবারই তা আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গেও প্রভাব দেখাতে পারে সিত্রাং। বাংলাদেশেও আছড়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।  

দুর্গাপুজোর আনন্দে জল ঢেলেছিল বৃষ্টি। ফের কালীপুজোতেও একই আশঙ্কা। বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরেই দীপাবলি থেকে ভাইফোঁটা অবধি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অন্ধ্র উপকূল ধরে ঘূর্ণিঝড়টি পশিচিমবঙ্গের উপকূলের কাছ ঘেষে বাংলাদেশের উপরে আছড়ে পড়তে পারে। যদি এই পথেই এগোয় ঘূর্ণিঝড়টি, তবে রাজ্যে দুর্যোগের আশঙ্কা কম। তবে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তু প্রশাসন। দক্ষিণবঙ্গের জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। ধান তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বিদ্যুত্‍ দফতর। জরুরি পরিষেবায় যুক্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে (Weather Update)।

আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে বিপত্তি বাড়ল অনুব্রতের! আজই দিল্লিতে ইডির হাতে সায়গল

বিশেষ করে সাবধান করা হয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একদিকে যেখানে নিম্নচাপের জেরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে অমাবস্যায় ভরা কোটালেরও সম্ভবনা রয়েছে। এই কারণেই আগামী ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর অবধি মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূল এলাকায় যাদের বাড়ি তাদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। 

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২২ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বদিকে পৌঁছে যাবে নিম্নচাপটি। আগামিকাল তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবরের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছে যাবে। ঘূর্ণিঝড়টি ল্য়ান্ডফল বা স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। রবিবার থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে আকাশের মুখ ভার হতে শুরু করবে৷ তিন জেলারই উপকূল লাগোয়া এলাকায় শুরু হবে হাল্কা বৃষ্টি৷

সোমবার থেকেই অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আবহাওয়ার পরিবর্তন চোখে পড়বে৷ শুরু হবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া৷ উপকূলের জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ মঙ্গলবার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ এর পাশাপাশি উপকূলের তিন জেলা দুই চব্বিশ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে৷ দমকা হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার৷

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  

          

    

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles