মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবর মাস ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১৫ শতাংশ মহিলা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রতি চার মিনিটে একজন ভারতীয় মহিলার ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে। ভারতে ১ লাখ ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্তের ১২ শতাংশ রোগী মারা যান। কিন্তু ক্যান্সার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের সময় মতো চিকিৎসা করালে মৃত্যু হার শূন্য শতাংশে নামানো যায়। ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন সময় মতো রোগ নির্ণয় ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা।
কীভাবে বুঝবেন
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তিরিশ বছরের উপরে মহিলারা সজাগ থাকুন। বুকে কোনও রকম মাংসপিণ্ড দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিপল দিয়ে রক্তপাত হলে একেবারেই দেরি করা উচিত নয়। এটা স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ। বুকে কোনও রকম লাল দাগ কিংবা চুলকানি হলে, দীর্ঘদিন সেগুলো থেকে অস্বস্তি হলেও চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করানো জরুরি। অনেক সময়েই বুকে lump বা মাংসপিণ্ড দেখা যায়, যাতে কোনও ব্যথা হয় না। অথচ তা ক্রমশ বড় হচ্ছে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই সময় নষ্ট করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞেরা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে জেনে নিন এই মারণ রোগের সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নিরাময়ের উপায়
সময় মতো চিকিৎসা করালে ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন কাটানো সম্ভব, মত চিকিৎসকদের। প্রয়োজন মতো, অস্ত্রোপচার ও রেডিওথেরাপি করালে এই রোগ থেকে মুক্তি মেলে। তবে, অনেক সময়েই এই রোগ নির্ণয় অনেক দেরিতে হয়। তাই সম্পূর্ণ চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায় না। তবে, এই রোগ রুখতে নিজের জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রথমেই ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত ফাস্ট ফুড বা প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো খাবারে যেসব রাসায়নিক থাকে, তা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তবে, নিয়মিত, শাক-সবজি ও মাছ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পালং শাক খান। পালং শাক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। তাছাড়া পালং শাকের লিউটিন জেক্সানথিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া খাবারে হলুদের ব্যবহার করুন। হলুদ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। খাবারে রসুনের ব্যবহার কমাতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি। কারণ, রসুনে রয়েছে সালফার যৌগ। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। টম্যাটো নিয়মিত খেলে কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। এটি লিকোফিন নামের লাল ফাইটোকেমিট্যাল সমৃদ্ধ সবজি। গাজরও ব্রেস্ট ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে। কারণ, গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। এটা এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো সব্জিগুলো ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ, এই সব সব্জিতে থাকে গ্লুকোসিনোলোটস। এগুলোতে ফাইটোকেমিট্যাল থাকে, যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। স্ট্রবেরি, কমলালেবু, ব্লু বেরির মতো ফল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সামুদ্রিক মাছে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান থাকে। স্যালমন, টুনার মতো মাছ ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours