মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার (Aadhaar) বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) পরিষেবা দেবে রাজ্য। প্রশাসনের তরফে এ-ও দাবি করা হচ্ছে— চিন্তা নেই, রাজ্য সব ব্যবস্থা করিয়ে দেবে। নবান্নর এই নির্দেশিকা ঘিরে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন, পরিষেবা নয়, আখেরে ভিড় বাড়ানোই লক্ষ্য রাজ্যের শাসক দলের।
শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাকে মাথায় রেখে জনসংযোগ বৃদ্ধিতে ফের কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। নতুন উদ্যমে পুনরায় শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প, যা জনসংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের কাছে শ্রেষ্ঠ মাধ্যম বলে দাবি করেন শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। বলা বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এবারের ফোকাস গ্রাম-বাংলা। আর সেই নিয়ে সম্প্রতি নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। তাতে, কী কী করণীয়, তা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও আবেদনপত্রের সঙ্গে আধার কার্ড বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস না থাকলেও, সেই আবেদন গৃহীত হবে। বলা হয়েছে, সেই আবেদনপত্রগুলোকে আলাদা করে রেকর্ড করতে হবে। পরবর্তীকালে, আবেদনকারী আধার ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর জমা করলে, সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। শুধু তাই নয়। আধার কার্ড করা ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও দুয়ারে সরকার শিবির থেকে সহায়তা করা হবে বলেও দাবি করা হয়েছে নবান্নর তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের জন্য বিশেষ ডেস্ক থাকবে।
সরকারের এই নির্দেশিকা একাধিক প্রশ্ন মনে উঁকি মারছে বলে মনে করছে বিরোধীরা। তাদের মতে, সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া নয়। রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য হল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শিবিরে শিবিরে ভিড় বাড়ানো। যার জন্য, এখন কেন্দ্রীয় পরিষেবাও এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পে যুক্ত করা হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, আধার ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকা সত্ত্বেও, যদি আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে, কোনও পৃথক উদ্দেশ্য রয়েছে। অর্থাৎ, স্বষ্ট বোঝা যাচ্ছে, শিবিরে ‘ফুটফল’ বাড়াতেই এই বিশেষ সিদ্ধান্ত।
বিরোধীদের কটাক্ষ, এই সাম্প্রতিককালে এই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এত দুর্নীতি, চুরি, কাটমানি, সিন্ডিকেট চালানো, তোলাবাজির ভুরি ভুরি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে যে, মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে। শাসক দলের ভাবমূর্তি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এমতাবস্থায়, লোক টানতে এখন এই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। যদিও, রাজ্যবাসী এখন শুধুমাত্র তৃণমূলের বিদায় দেখতে চাইছে।
+ There are no comments
Add yours