মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টার (Leicester) শহরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও হাত নেই। কেবল আরএসএস (RSS) নয়, ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও সংগঠনেরই যোগ নেই। ঘটনার তদন্ত করে এমনটাই জানাল ব্রিটেনের (UK) একটি বিশেষজ্ঞ দল। এই দলের একজন সদস্য হলেন শার্লোট লিটিলউড। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির রিসার্চ ফেলো তিনি। স্থানীয় হিন্দু (Hindu) এবং মুসলমান বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এভিডেন্স, ভিডিও এভিডেন্স, পুলিশ রিপোর্ট এবং বিবৃতি দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে লিটিলউড বলেন, তদন্ত করে দেখা গিয়েছে লাইসেস্টারের ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও গোষ্ঠীর যোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, বরং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সংহতিকেই মিথ্যাভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে দ্বৈরথে নেমেছিল ভারত-পাকিস্তান। খেলাটি ছিল এশিয়া কাপ টি-২০ ম্যাচ। ব্রিটেনের লেস্টারে (Leicester) ওই ম্যাচ হয়েছিল ২৮ অগাস্ট। ম্যাচটি জিতে যায় ভারত। এর দিন কয়েক পরে একদল উত্তেজিত জনতা ব্রিটেনের বার্মিংহামের স্মিথউইকে থাকা একটি দুর্গা ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে এলাকায় সংর্ঘষ বাঁধে। ঘটনায় নাম জড়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের। তবে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় আরএসএস কিংবা হিন্দুত্ববাদী কোনও সম্প্রদায়েরই হাত নেই। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘৃণা ছড়ানো, ভাঙচুর এবং হেনস্থার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ
বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টারে (Leicester) বসবাসকারী হিন্দুরা বেজায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ দূরে কোনও বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েছিলেন। ভয় কাটা না পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই ছিলেন। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টার অশান্ত হয়ে ওঠে। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অশান্তির রেশ ছিল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়েই হয় সম্পত্তি নষ্ট, শারীরিক নিগ্রহ, ছুরিকাঘাত এবং প্রার্থনা স্থলে আক্রমণ। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হিন্দু ও মুসলিম মিছিল করে দু-পক্ষই। একদল জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়, অন্য পক্ষ বলে আল্লা হু আকবর। লিটিলউডের মতে, এটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার নিদর্শন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours