Jhalda: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা শাসক শিবিরে, হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা

Jhalda: আজ তলবি সভায় উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কাউন্সিলররা।
jhalda_(1)
jhalda_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমানই হল সত্যি! শাসকদলকে খোয়াতে হল ঝালদা পুরসভা (Jhalda)। শেষপর্যন্ত ২ নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসকে সমর্থন করায় ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন কংগ্রেস শিবিরে রইল ৭ কাউন্সিলর। অন্যদিকে, তৃণমূলের হাতে রইল ৫ কাউন্সিলর। আজ তলবি সভা ছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কাউন্সিলররা। নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় হাত শিবির। এদিন জয়ের পর ঝালদা শহরে তপন কান্দুর স্লোগান দিয়ে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আজ ছিল আস্থা ভোট। ঝালদা শহরজুড়ে জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের কাছে এটি একটি মর্যাদার লড়াই ছিল। আজকের আস্থাভোট ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলররা শাসক দলের হাত ছাড়ার পরেই শাসকদলকে বেকায়দায় পড়তে হয়। এরপর এই মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ালে শেষপর্যন্ত আস্থাভোটের নির্দেশ দেয় আদালত। আর আজই ঠিক হয়ে হয়ে গেল যে, শেষপর্যন্ত কংগ্রেসের দখলে হল ঝালদা পুরসভা (Jhalda) ।

কেন এই আস্থাভোট?

পুরভোটের পর থেকেই ঝালদা (Jhalda) নিয়ে অস্বস্তি বেড়েই চলেছিল শাসক শিবিরের। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ড আরও সংকট বাড়িয়েছিল। শেষে উপনির্বাচনের পর নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় বোর্ড গঠন করে শাসক দল। ফলে ৬ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বোর্ড দখল করে নেয় তৃণমূল। কিন্তু সেই বোর্ড বেশিদিন স্থায়ী হতে পারল না। ৭ মাস কাটতে না কাটতেই নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। যার ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে। শেষে চাপে পড়েই আস্থাভোট নির্দেশ দেয় আদালত ।

কী পরিস্থিতিতে ছিল পুরবোর্ড?

ঝালদা (Jhalda) পুরসভার মোট ১২টি আসন। পুরসভা ভোটের পর ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ফলাফল। তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস উভয়ই ৫টি করে আসন পেয়েছিল। ২টি আসনে জিতেছিল নির্দল। তারমধ্যে একজন সোমনাথ কর্মকার ছিলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। এরই মধ্যে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে শাসক শিবির পুরবোর্ড গঠন করেছিল। তবে বর্তমানে কংগ্রেসে রইল ৭ কাউন্সিলর।

বোর্ড দখলে আত্মবিশ্বাসী ছিল কংগ্রেস

কংগ্রেস থেকে দাবি করা হয়েছিল যে (Jhalda), তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ২ নির্দল প্রার্থী। ফলে বোর্ড দখলে আত্মবিশ্বাসী হাত শিবির। ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস নেত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। কারণ সংখ্যা গরিষ্ঠতা আমাদেরই বেশি। তাই জয় আমাদেরই হবে।’

পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঝালদা পুরসভার এই আস্থাভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুরুলিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক অনেকটাই নির্ভর করে এই আস্থাভোটের উপরে। সেকারণেই এদিকে তাকিয়ে ছিল পুরো রাজনৈতিক মহল। শেষ পর্যন্ত ঝালদাবাসীর (Jhalda) অপেক্ষার অবসান হল। কংগ্রেসের হাতেই গেল ক্ষমতা।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles