মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু সরকারের সুপারিশে রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Gandhi assassination) মামলায় যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত ছয় বন্দিকেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। মে মাসে, শীর্ষ আদালত এজি পেরারিভালানের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছিলেন। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিভি নাগারথনার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দোষীদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে। মুক্তি দেওয়া হয়েছে নলিনী, শান্তন, মুরুগান, শ্রীহরণ, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রনকে। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধী ও আরও ২১ জনের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত।
সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের জন্য জেলের দরজা খুলে দিয়েছে, এবার কী অপেক্ষা করছে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার ছয় আসামির জন্যে?
প্রথমত, নলিনীকে চেন্নাই থেকে ফিরে আসতে হবে এবং ভেলোরের মহিলাদের জন্য বিশেষ কারাগারে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কারণ এই সপ্তাহান্তে তাঁর প্যারোলের মেয়াদ শেষ হবে। তারপরে তাঁকে চূড়ান্ত মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। রবিচন্দ্রনের প্যারোলের মেয়াদ বৃহস্পতিবার বাড়ানো হয়েছিল এবং তিনি আরও এক মাসের জন্য বাইরে থাকতে পারবেন, যদি না কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফেরত চায় যাতে তিনিও মুক্ত হতে পারেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শ্রীহরন ওরফে মুরুগান, রবার্ট পায়াস, জয়কুমার এবং সানথান - চার বিদেশীর নাগরিকত্বের বিষয়টি আপাতত ঝুলে রয়েছে। অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জেল প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রীলঙ্কায় নির্বাসনের জন্য জরুরি ভ্রমণের কাগজপত্রের ব্যবস্থা করার বিষয়ে কথা বলেছে।
চারজন এই ব্যবস্থার জন্য সম্মত হবেন কিনা বা শ্রীহরনরা অন্য কোনও ব্যবস্থার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবেন কি না এখন সেটাই দেখার পালা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে তাঁরা কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করার আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের হার্ড কপির জন্য অপেক্ষা করবেন এবং এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি না সেটাও দেখতে চান তাঁরা । শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত, তারের বা ডাকযোগে কোন আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ আসেনি, বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours