মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু সরকারের সুপারিশে রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Gandhi assassination) মামলায় যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত ছয় বন্দিকেই মুক্তির নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। মে মাসে, শীর্ষ আদালত এজি পেরারিভালানের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছিলেন। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিভি নাগারথনার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দোষীদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে।
Supreme Court directs release of six accused including Nalini and RP Ravichandran, serving life imprisonment in connection with the assassination of former Prime Minister Rajiv Gandhi. pic.twitter.com/nguZY99Svc
— ANI (@ANI) November 11, 2022
এদিন মুক্তি দেওয়া হল নলিনী, শান্তন, মুরুগান, শ্রীহরণ, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রনকে। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধী ও আরও ২১ জনের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। আজকের এই নির্দেশের পরে রাজীব হত্যা মামলার সকল আসামীই মুক্তি পেয়ে গেলেন।
আরও পড়ুন: গৃহবন্দি গৌতম নভলাখা, নেই কোনও ইন্টারনেট যোগাযোগও
কী বলেছে আদালত?
আদালত জানিয়েছে, পেরিভালানকে যে কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল,সেই একই কারণেই এই মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হল বাকি ৬ জনকে। পেরিভালানকে মুক্তি দেওয়ার সময় আদালত তাঁর পর্যবেক্ষনে জানিয়েছিল, তাঁর ক্ষমার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্যপাল অনেক বিলম্ব করেছেন। তাই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪২-এর আওতায় পাওয়া বিশেষ ক্ষমতার ব্যবহার করেছে আদালত। অনুচ্ছেদ ১৪২-এ বলা হয়েছে, বিচারাধীন কোনও মামলার ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট তার এক্তিয়ার প্রয়োগ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারে। তামিলনাড়ু সরকারও এই বন্দিদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল।
আদালত পর্যবেক্ষনে জানিয়েছে, আসামীদের প্রত্যেকেই তিন দশকের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। সেই সময়ে তাদের আচার-আচরণ ভাল ছিল এবং তারা সকলেই জেলে বসে বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আসামীদের মধ্যে কয়েকজন শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছেন। সবদিক বিবেচনা করেই তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।
১৯৯৮ সালে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় এই ৬ আবেদনকারী-সহ মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল টাডা আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা। বিচারপতি কেটি থমাস শুধুমাত্র পেরিভালান, শ্রীহরণ, শান্তন এবং নলিনী – এই চারজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বহাল রেখেছিলেন। বাকি সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এর মধ্যে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। ২০০০ সালে তামিল নাড়ু সরকার নলিনীর মৃত্যুদণ্ডের মকুব করেছিল। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট, পেরিভালান, শ্রীহরণ, শান্তনের সাজা কমিয়ে যবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours