Lottery scam: ভয় দেখিয়ে টিকিট হাতিয়ে নেন কেষ্ট! আসল লটারি বিজেতার দাবিতে তোলপাড়

Lottery Scam: লটারির টিকিটের বদলে ৮৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার নাম করে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে...
1082910-anubrata-mondal
1082910-anubrata-mondal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি লটারি জেতার তদন্তে এবারে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে (Lottery Scam)। জানা গিয়েছে, ওই লটারি জিতেছিলেন অন্য এক ব্যক্তি, আর তাঁকে অনুব্রত মণ্ডলের লোকেরা ভয় দেখিয়ে, তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করে সেই লটারি হাতিয়ে নেন। এমনটাই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই এদিন জানিয়েছে, বোলপুরের বড় শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কটাই শেখের ছেলে শেখ নুর আলি এই লটারির টিকিট জিতেছিলেন। অর্থাৎ এই লটারির আসল প্রাপক অনুব্রত নয়, শের নুর আলি। আর শেখ আলির থেকেই এটি হাতিয়ে নেন অনুব্রত।

আসল বিজেতার থেকে লটারি হাতিয়ে নেন কেষ্ট...

লটারিকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার বড় শিমুলিয়া গ্রামে শেখ নুর আলির বাড়িতে তল্লাশি চালান (Lottery Scam)। এরপর শান্তিনিকেতনে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় নুরকে। লটারির রহস্যভেদ করতে গিয়ে খতিয়ে দেখা হয় ওই ব্যক্তির সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য। এমনকি এদিন 'গাঙ্গুলী লটারি'র দোকানের মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। টিকিট তিনিই যাচাই করে দেন বলে দাবি বাপির। আর এরপরেই শেখ নুর আলির বাবা কটাই শেখ বিস্ফোরক অভিযোগ করেন অনুব্রতর বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, লটারির টিকিট বিক্রি করা কালাম শেখের কাছ থেকে টিকিট কিনেছিলেন তাঁর ছেলে। তাতে টাকা জেতেন তাঁরা। আর তার পরেই শুরু হয় চাপসৃষ্টি, ভয় দেখানো। এর ফলে গ্রামছাড়াও হতে হয় তাঁদের। কিন্তু তাতেও রেহাই হয়নি। ফিরে আসার পর জোর করে কেড়ে নেওয়া হয় লটারির টিকিট। তাঁদের বলা হয়েছিল যে এই লটারি টিকিটের বদলে ৮৩ লক্ষ টাকা দেবেন, কিন্তু শেষপর্যন্ত ৭ লক্ষ টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। কটাই শেখ আরও অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র চাপ সৃষ্টি করাই হয়নি, টিকিট পেতে তাঁদের প্রাণনাশ, গ্রামছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কেষ্ট, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটির লেনদেন! ব্যাঙ্ককর্মীকে জেরা সিবিআইয়ের

আরও জানা গিয়েছে, এই নুর শেখ আলির খবর সিবিআই আধিকারিকরা লটারি বিক্রেতার থেকে জানতে পেরেছিলেন (Lottery Scam)। সিবিআই আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে শেখ নুর আলির থেকে টিকিট আদায় করতে মাহিরি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ভজা নামের এক ব্যক্তি ও বিশ্বজ্যোতি ওরফে মুন এ ক্ষেত্রে অনুব্রতর হয়ে মধ্যস্থতা করেন। উল্লেখ্য, অনুব্রতর পরিবার মোট পাঁচটি লটারি জেতে। এক পরিবার বারবার লটারি জিতে চলেছে, এ নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তদন্তে নেমেছিলেন। লটারি জেতার পিছনে কী রহস্য রয়েছে, তা জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল সিবিআই। আর আজ শেষপর্যন্ত অনুব্রতর এক কোটি জেতার আসল রহস্য জানতে পারল সিবিআই-এর আধিকারিকরা। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles