Delhi Murder: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

আফতাবকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লি আদালত।
Delhi_Murder
Delhi_Murder

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যায় (Delhi Murder) অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ফাঁসির সাজার দাবি করলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। আফতাবের পরিবারের  সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বিকাশের আক্ষেপ, পুলিশ আরও আগে তদন্ত করলে তাঁর মেয়ে হয়তো আজ বেঁচে থাকত। 

এই প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder) যথাযথ তদন্ত করা উচিত। আফতাবকে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। ওঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার। ওদেরও শাস্তি প্রাপ্য।’’

আরও পড়ুন: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

বিকাশের দাবি, অনেক দিন আগেই মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানালেও পুলিশের তরফে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্রের মানিকপুর এবং বসই থানার অসহযোগিতায় আমি সমস্যায় পড়ি। সময় মতো পুলিশ পদক্ষেপ নিলে আমার মেয়েটা হয়তো বেঁচে থাকত (Delhi Murder)। আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, তা যেন অন্য  কারোর সঙ্গে না হয়।" 

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করার আগে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শ্রদ্ধার বাবা। এই মামলায় দোষীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ (Delhi Murder) নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দেবে ফড়ণবীস। বিকাশের দাবি, "তুলিঞ্জ, বসই এবং নালাসোপারা থানার পুলিশ তদন্ত বিলম্বিত করছে। এখন অবশ্য দিল্লি এবং বসই পুলিশ যথাযথ তদন্ত করছে।" 

ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে আফতাব 

এদিকে শুক্রবার আরও ১৪ দিনের জন্য আফতাবের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুনের অভিযোগে গত ১২ নভেম্বর আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এই মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে তত নতুন নতুন তথ্য পুলিশের হাতে আসছে। ইতিমধ্যেই আফতাবের পলিগ্রাফ এবং নারকো টেস্ট করানো হয়েছে। লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুনের কথা নিজে মুখে স্বীকার করেছে আফতাব। নারকো পরীক্ষায় অবচেতন মনে শ্রদ্ধাকে হত্যার (Delhi Murder) কথা স্বীকার করেছে আফতাব। পরীক্ষার সময় আফতাব দাবি করেছে, রাগ ও ক্ষোভের বশেই সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৭টি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হত্যার পর সেই সব অস্ত্র সে কোথায় ফেলেছে, তাও জেরায় জানিয়েছে আফতাব। শ্রদ্ধার মোবাইল ও জামাকাপড় কোথায় ফেলেছে, তাও জানিয়েছে আফতাব।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles