মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে লাল ফৌজ। মাঝে মধ্যেই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার। অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই চিন(China) পরিকাঠামোও গড়ে তুলেছে বলে খবর। এসবেরই জবাব দিতে ফের একবার আস্তিন গোটাচ্ছে ভারতীয় সেনা। লাল ফৌজকে যোগ্য জবাব দিতে অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিকাঠামো গড়ছে ভারতও (India)। তাওয়াংয়ের ঘটনার পর এবার এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রজেক্ট ভারটক (Project Vartak)। এই প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানান বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন রাস্তার উন্নয়ন করছে, সংস্কার করা হচ্ছে রাস্তাঘাট। পশ্চিম অসম এবং পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশে ইতিমধ্যেই এ কাজ শুরু হয়েছে।
রামন কুমার বলেন...
প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার বলেন, আমাদের ন্যাশনাল হাইওয়ে রয়েছে, সিঙ্গল লেন রোডস, ডাবল লেন রোডস এবং অন্যান্য ধরনের রাস্তা আছে। আমরা তাওয়াং জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চাই। এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নয়নও করতে চাই আমরা। তিনি জানান, দুটি টানেলের কাজও চলছে। একটি হল সেলা টানেল, অন্যটি নেচিপু টানেল। শীতকালে বরফ পড়ে। তখন যাতায়াতে সমস্যা হয়। সেই সমস্যার সমাধান করতেই তৈরি করা হচ্ছে দুটি টানেল। তিনি বলেন, সেলা টানেলের কাজ চলছে। এটি সেলা পাসের চারশো মিটার নীচে। টানেলের কাজ শেষ হয়ে গেলে এই এলাকার লোকজন শীতকালে বরফ পড়ার সময়ও অনায়াসে একস্থান থেকে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবেন টানেলের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?
চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার বলেন, আমরা নেচিপু টানেলেও কাজ করছি। এটা নেচিপু পাসের কাছেই। টানেল দুটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সেনার পাশাপাশি সাধারণ যানবাহনও চলাচল করতে পারবে। টানেলের মাধ্যমে যাতায়াত হবে অনায়াস। তিন বলেন, এটা যে কেবল সেনা এবং এলাকাবাসীর উপকারে লাগবে তা নয়, উন্নত হবে এলাকার পর্যটন শিল্পও। রাস্তার পরিকাঠোমা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায়ও যাতে মোবাইল কানেকটিভিটি মেলে, সেজন্য তাওয়াং এবং সীমান্তের অন্যত্র বসানো হচ্ছে মোবাইল টাওয়ারও। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ৯ তারিখে তাওয়াংয়ে হাতাহাতি হয় ভারতীয় সেনা ও লাল ফৌজের।
+ There are no comments
Add yours