Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

Anubrata Mondal: ফের কলকাতা হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিন সংক্রান্ত মামলা।
anubrata
anubrata

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এখনই জামিন মিলল না অনুব্রতের (Anubrata Mondal)। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঠাঁই হয়েছে এখন দুবরাজপুর থানায়। শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের পরে তাঁকে বর্তমানে রাখা হয়েছে দুবরাজপুরে। আজ, গরু পাচার মামলায় হাইকোর্টে অনুব্রতের জামিনের মামলা ছিল। আর সেই মামলার শুনানিতেই শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের কেস ডায়েরি চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অনুব্রতের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশে যে মামলা হয়েছে, তার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। এছাড়াও এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী অনুব্রতকে কটাক্ষ করে 'ভিআইপি' তকমা দিয়েছেন।

কী ঘটেছে হাইকোর্টে?

আজ হাইকোর্টে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) জামিন মামলা ছিল। কিন্তু এই মামলার শুনানিতে জামিন তো দূরের কথা, বিচারপতি কেষ্টর বিরুদ্ধে নতুন মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে বসলেন। একই সঙ্গে আসানসোল বিশেষ আদালতের বিচারকের হুমকি পাওয়ায় যে অভিযোগ উঠেছিল, সে কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন বিচারপতি। সে বিষয়ে রাজ্য কী তদন্ত করেছে, সেটাও জানতে চায় আদালত। ফলে আজ শুনানি শেষে জামিনের মামলা আরও পিছিয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) মামলায় সব নথি সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের হাতে জমা করা হয়নি। এই মর্মে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির হাতে জমা করতে বলেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

বিচারপতি কেষ্টর আইনজীবীকে কী বললেন?

অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হয়ে আদালতে লড়েছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি এদিন আদালতকে জানান, নতুন মামলায় রাজ্য পুলিশ কেষ্টকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। রাজ্য আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি হাজির করবে বলে জানানো হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মজা করে বলেন, “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি, যে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চায়। ভিআইপিদের ক্ষেত্রে এটা হয়। সবাই নজরে রাখে।” এছাড়াও বিচারপতি এদিন জানতে চান, আর নতুন করে কোনও মামলা অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে কি না, কোনও মামলা পেন্ডিং রয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। ফলে এই সব সওয়াল-জবাবের পর নতুন মামলার কেস ডায়েরি চাওয়া হয় ও জামিন মামলা পিছিয়ে যায়।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles