PM Modi: কর্মে বিরতি নয়, ভার্চুয়ালি থাকবেন রাজ্যের সব অনুষ্ঠানে! মায়ের শেষযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী

মায়ের আদেশ মেনেই চিরকাল কাজ করেছেন। আজও করছেন।
modimom
modimom

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। মায়ের মধ্যেই ঈশ্বরকে দেখেছিলেন। মা বরাবর তাঁকে কাজকেই প্রাধান্য দিতে বলেছেন। তাই মায়ের মৃত্যুর পরও কাজ বিরতি নিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মায়ের শেষযাত্রায় অংশ নেওয়ার পরই ভার্চুয়ালি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। দেশের প্রতি নিষ্ঠা, দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য এবং রাষ্ট্রধর্ম পালন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বার বার সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

ভার্চুয়ালি কাজে যোগ

প্রসঙ্গত আজ সরকারি বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে ঝটিকা সফরে কলকাতা আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা ছাড়াও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা ছিল হাওড়া স্টেশন থেকে। হাওড়ায় অনুষ্ঠানের পরে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্টের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথাও ছিল তাঁর। তবে শতায়ু মায়ের প্রয়াণের খবরে সকালবেলাতেই তিনি আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, মাতৃবিয়োগ সত্ত্বেও 'কর্মে' বিরতি নয়! ভার্চুয়ালি কলকাতার একগুচ্ছ অনুষ্ঠানে থাকবেন মোদি। সবকটি অনুষ্ঠানই তার পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাতে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যোগ দেবেন। ট্যুইটারে এদিন মোদি লেখেন, ‘শততম জন্মদিনে যখন দেখা করেছিলাম, তখন মা একটা কথা বলেছিলেন। যা আমি চিরকাল মনে রাখব। মা বলেছিলেন, "বুদ্ধি দিয়ে কাজ কর, পবিত্রতার সঙ্গে জীবনযাপন কর।" মায়ের সেই আদেশ পালন করে চলেছেন তিনি। মাতৃবিয়োগ সত্ত্বেও দেশের প্রতি দায়িত্ব বজায় রাখছেন। 

আরও পড়ুন: প্রয়াত নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি, মাতৃবিয়োগের খবর ট্যুইটে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

শেষযাত্রায় মোদি

বরাবরই মায়ের জীবনকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের বাসভবন ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন মাকে। যখনই গুজরাটে গিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখ ভিজে গিয়েছে তাঁর। মায়ের মৃত্যুর পর শোকবার্তাতেও সেই ভাব প্রকাশিত। সকালে মায়ের চলে যাওয়ার খবর নিজেই দিয়েছেন সকলকে। তারপর দিল্লি থেকে সোজা গান্ধীনগরে পৌঁছে গিয়েছেন। ভাইয়ের বাড়ি থেকে শেষযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। কাঁধে বয়েছেন, মায়ের দেহ। ছিলেন শববাহী শকটেও। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles