Bunker: গুজরাট-পাকিস্তান সীমান্তে স্থায়ী বাঙ্কার তৈরি করতে চলেছে ভারত

আটটি বহুতল বাঙ্কার নির্মাণের জন্য ৫০ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
bunker
bunker

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) স্যর ক্রিক ও ‘হারামি নাল্লা’ জলাভূমি সংলগ্ন এলাকায় বাঙ্কার তৈরি করতে চলেছে ভারত। প্রথমবার গুজরাট-পাকিস্তান সীমান্তে স্থায়ীভাবে বাঙ্কার তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত (India-Pak Border) এলাকায় আটতলা সমান উচতার বাঙ্কার তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে। 

কঠোর নিরাপত্তা 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, আটটি বহুতল বাঙ্কার নির্মাণের জন্য ৫০ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এ এলাকায় প্রায়ই পাকিস্তানি জেলে ও মাছ ধরার নৌকার অনুপ্রবেশ ঘটছে। গুজরাট সীমান্ত এলাকায় একাধিকবার পাক অনুপ্রবেশকারীদের আটক করা হয়েছে ২০২২ সালে। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই বাঙ্কার তৈরি করা হবে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) গুজরাটের এই এলাকা থেকে ২২ জন পাকিস্তানি জেলেকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সঙ্গে ৭৯টি মাছ ধরার নৌকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একই বছরে (২০২২), বিএসএফ ২৫০ কোটি টাকার হেরোইন এবং ২.৪৯ কোটি টাকার চরস উদ্ধার করে। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত গুজরাট সীমান্ত ব্যবহার করে একাধিকবার ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছে পাক জঙ্গিরা। জলপথ ব্যবহার করেই ২৬/১১র জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছিল। তাই এবার এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে চাইছে সেনা।

আরও পড়ুুন: ‘মোদি বিশ্বের কণ্ঠস্বর, উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বর ভারত’, বললেন জয়শঙ্কর

প্রকল্পের খুঁটিনাটি

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভুজ সেক্টরেই এই বাঙ্কার বানানোর কাজ শুরু করা হবে। চার হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে থাকা স্যর ক্রিক এলাকায় পাঁচটি বাঙ্কার তৈরি করা হবে। ৯০০ বর্গ কিলোমিটার হারামি নাল্লাতেও ৪২ ফুট উঁচু বাঙ্কার বানানো হবে। আটতলা সমান উঁচু এই বাঙ্কারে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম রাখা হবে। যেসমস্ত এলাকা থেকে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে, মূলত সেই অঞ্চলেই নজরদারি চালানোর জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে এই বাঙ্কারে। প্রত্যেক বাঙ্কারে মোট ১৫ জন বিএসএফ জওয়ানের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। বিপদসংকুল ক্রিক এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য পায়ে হেঁটেই চলাফেরা করতে হত জওয়ানদের। বিষাক্ত সাপ-সহ নানা বিপদের মধ্যেই কাজ করতে হত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই অঞ্চল ঘুরে দেখেই বাঙ্কার বানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এপ্রিল মাস থেকে সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বাড়তে থাকে। তাই মার্চ মাসের মধ্যেই এই বাঙ্কার তৈরির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য বিএসএফের একটি বিশেষ দল নিযুক্ত করা হয়েছে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles